Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

ডায়ান   ডি প্রিমা'র   কবিতা।। সপ্তর্ষি   চট্টোপাধ্যায়

28/2/2019

0 Comments

 
Picture
(বিট জেনারেশনের প্রথিতযশা কবি ডায়ান ডি প্রিমার জন্ম ১৯৩৪ সালের ৬ই আগস্ট ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্কে।  তাঁর প্রথম কবিতার বই, দিস কাইন্ড অফ বার্ড ফ্লাইস ব্যাকওয়ার্ড, ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয়। ৫০ এর দশকের শেষের দিকে ও ৬০ এর দশকের শুরুতে ম্যানহাটানের বিট মুভমেন্টে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশ নেন।  পরবর্তীতে পাকাপাকি ভাবে সানফ্রান্সিসকোতে বসবাস শুরু করেন। আমেরিকার বিট মুভমেন্ট ও হিপি আন্দোলনের মাঝে তিনি ছিলেন সেতুবন্ধন স্বরূপ। ১৯৬৯ সালে, তিনি 'মেমোয়ার্স অফ আ বিটনিক' শিরোনামের একটি 'ফিকশনালাইজড ' আত্মকথায় বিট আন্দোলনে তার অভিজ্ঞতার কথা লিপিবদ্ধ করেন। তার নির্বাচিত কবিতা সংকলন, 'পিসেস অফ আ সং' , ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং একটি স্মৃতিকথা, ‘রিকালেকশন্স অফ মাই লাইফ অ্যাজ আ  ওউম্যান’ , ২০০১ সালে। লেখালেখির পাশাপাশি একজন ফটোগ্রাফার ও চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত, ডি প্রিমা জ্যাক কেরোউক স্কুল অব ডিসেম্বোডেড পোয়েটিক্স, নারোপা ইনস্টিটিউট, কলোরাডোয়, শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন বিট জেনারেশনের পুরোধা ব্যাক্তিত্বদের। অ্যালেন গিন্সবার্গ, উইলিয়াম বারোজ, গ্রেগরি করসো তাদের মধ্যে অন্যতম। ডি প্রিমা সম্পর্কে অ্যালেন গিন্সবার্গের নিম্নরূপ বক্তব্যটি ভীষণ ভাবে প্রণিধানযোগ্য… “Diane di Prima , a revolutionary activist of the 1960s’ Beat literary renaissance , heroic in life and poetics :  a learned humorous bohemian, classically educated, and twentieth-century radical, her writing , informed by Buddhist equanimity, is exemplary in imagist, political and mystical modes . A great woman poet in second half of American century, she broke the barriers of race-class identity , delivered a major body of verse brilliant in its particularity.”)



ব্লেকের জন্য

আসলে অনেক দেরি হয়ে গ্যাছে।
আমরা যেখানেই থাকি  না কেন
কিভাবে রয়েছি , কেন রয়েছি
সে বিষয়ে রোমন্থন করাটা অর্থহীন।
(যদিও চাইলেই হয়তো দূরত্বটা কমিয়ে ফেলা যায় )
এক সময় আমাদের গাঢ় নিশ্বাসে ছিল
ঘরে ফেরার গান।
আমাদের ছিল আগুন স্বরূপ দুটো শরীর।
যারা ভেনাসের উপত্যকায় মোহনায় মিলেছিল এক দিন।  
আমাদের ছিল ঝড় স্বরূপ দুটো শরীর।
যারা শোঁ শোঁ  শব্দে জুপিটার কে প্রদক্ষিণ করতো
কোনো এক ফেলে আসা অতীতে।
আমাদের ছিল দুই জোড়া চোখ ,
যাদের অতীত চারণে  ছিল নিখাদ প্রেম।



ফার্স্ট স্নো , কেরহংকসন

অ্যালেন এর প্রতি

এটাই তাহলে সেই বহু প্রতীক্ষিত স্মারক
যেটা পৃথিবী আমায় উপহার স্বরূপ দিয়েছে।
(তুমি আমায় উপহার স্বরূপ দিয়েছো। )
একটা তুষারাবৃত শাদা ধূসর উপত্যকা।
হ্রদের উপরে প্রথম তুষারের আস্তরণ।
দুগ্ধফেননিভ চাদরের মতো।
ধবধবে সাদা।
আমার জানলায় রাখা মোমবাতিটার মতো।
ঠিক সন্ধে নামার আগে শুরু হয় ওর প্রাত্যহিক দহন।
যখন আলগা বরফ ধীরে ধীরে ছায়াচ্ছন্ন করে
আমাদের নির্জন উপত্যকা।
এই প্রান্তবর্তী লোকান্তরে
কোনো বন্ধুর দ্যাখা পাওয়া যায় না।
মেক্সিকো থেকে ভিড় জমায় না
বাদামী অভিবাসীর দল।
ক্যালিফোর্নিয়ার সানফিল্ড থেকেও আসে না কেউ।
ওরা সবাই ছন্নছাড়া  এখন।
মৃত অথবা নির্বাক।
হয়তো বা আমাদের দিন বদলের সোচ্চার কলরবে
ইন্দ্রিয়বদ্ধ ওরা আদিম উদ্দামতায়।
আর তোমার এই লোকায়ত উপহার
ধূসর নৈঃশব্দে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে
আমার জীবনের প্রান্তরেখা।




সিটি লাইটস ১৯৬১


যখন আমি প্রথম এসেছিলাম এখানে
গোটা ব্যাপারটাই বেশ অনাড়ম্বর ছিল।
কবিতার বইয়ে ঠাসা নীচের তলাটা ,
দেয়ালের তাক গুলোতে  লাল হয়ে যাওয়া লিটল ম্যাগাজিনের স্তুপ।
সাদা ঘুণধরা টেবিল গুলো
যেখানে লোকে বসে লেখা পড়া করতো।
আবার এক বছর পর ফিরে এলাম।
সাথে আমার দুই সন্তান।
লরেন্স আমাকে ওর সব প্রকাশিত বইগুলো দিয়ে গ্যাছে।
বইগুলো দেওয়ার আগে বলেছিলো
'আমার ঘরে শুধু বই ই পাবে ,'
'অন্যদের ঘরে ঠিক যেমন করে মশা মাছি ইঁদুর আরশোলা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। '

উত্তরের সমুদ্রের দিকটা এখনো আগের মতোই রহস্যময়ী রয়ে গ্যাছে।
১৯৬৮ এ আমি যখন প্রথম এখানে এলাম,
ফিলবার্ট ও গ্রান্টের পাবলিশিং অফিসটা ছিল আমাদের মক্কা একেবারে ।
আমাদের প্রতিদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ অবস্থান ইত্যাদির সময়,
যদি আমার সন্তানেরা কাছছাড়া হয়ে যেত ,
ওদেরকে বলা ছিল ওই অফিসের কাছে এসে অপেক্ষা করতে।  
(লরেন্স  যদিও খুব চিন্তা করতো বাচ্চাদের নিয়ে / যদি কিছু একটা হয়ে যায় ওদের / এই নিয়ে খুব ভয় ছিল ওর /
আমায় বলতো ওদেরকে বাড়িতে রেখে যাও না কেন )
আমি আবার ভাবতাম
আমরা প্রতিনিয়ত তিলে তিলে ঠেকে ঠেকে যা শিখছি
ওরাও সেগুলো শিখুক।
আমাদের দিনান্তের প্রাত্যহিক ঠিকানা ছিল
অফিসের পাশের দোকানটা।
রসদ সংগ্রহের তাগিদে।
কত এরম দিন গ্যাছে  
যখন মাঝরাতে কিংবা তার ও পরে
আমরা হানা দিতাম ওখানে।
পৃথিবীর সব প্রান্তের নতুন কবিতা গুলোর সন্ধানে।
তারপর সারা রাত ধরে নতুন কি গান এলো তার খোঁজ।
ড্র্যাগ কুইন  আর বিপ্লবীদের ভিড়ে ঠাসা  টাওয়ার রেকর্ডসে।
সিটি লাইটস এখনো আছে।
একটা পুরোনো লাইট হাউসের মতো ঠায় দন্ডায়মান ।
যদিও বাদবাকি সেরম কিছুই আর  অবশিষ্ট নেই।
পোয়েট্রি সেকশনটা  ওপরের তলায় এখন।
পাবলিশিং অফিস টা  ওখানেই আছে।
আমার হাঁটুর বয়সী অথবা তার চেয়েও কম বয়সী ছেলে মেয়েরা
এখনো ওখানে ভিড় জমায়।
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত থেকে খুঁজে আনা কবিতার জন্য।
মানুষের জন্য।




সং ফর বেবি , ও আনবর্ন


প্রিয়তমা,
তুমি যদি আমাকে ভেঙেচুরে দ্যাখো
একটা কবি খুঁজে পাবে।
খুব একটা পছন্দের কবি নয় সে।
অনেকটাই অন্য রকম।
সচরাচর যাকে সবাই এড়িয়ে চলতেই অভ্যস্ত।
আমি কখনোই তোমায় এরকম কোনো প্রতিশ্রুতি দেব না
যে তুমি আর কোনোদিন খিদেয় ছটফট করবে না।
অথবা আর কক্ষনো দুঃখ পাবে না।
এই ভাঙাচোরা পুড়ে যাওয়া গোলার্ধে।
কিন্তু আমি তোমাকে এমন ভাবে ভালোবাসতে পারি
যা কিনা তোমার হৃদয়টাকে দুমড়েমুচড়ে শেষ করে দিতে পারে।
চিরকালের মতো।




0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন