Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

চারটি   কবিতা ।।  অহনা   সরকার

5/12/2020

1 Comment

 
Picture



খবর

ভাজা মাছ কড়া করে বেশ কড়ার মধ্যে উল্টে! আহ্! ভাজা মুচমুচে একদম আর এক
কাঁসি ভাত গরম! পেলে আর কি লাগে বলুন তো! কিচ্ছু না। আর ক্বচিৎ কিয়দ ঝোল
জুটে গেলে তো ফতে কেল্লা! তবে মুশকিল জোটানোই। এ যে চারা দেখছেন ধানের এর
গোড়ায় গোড়ায় জমে জল যা তাতেই শাঁখ বিশেখ ছোটো খাটো সব মাছ আসে ওই ভেসে,
তাই ছেলেপুলেরা গামছায় তুলে! আ হাহা! সুখের সেসব দিন! কড়া করে ভাজা মাছ
গাছের লেবু জোটে তো কথাই নেই আর! সাবাড় এক কাঁসি পুরো।
তা সে সৌভাগ্য জোটে আমাদের এই বর্ষাকালেই। তাও গরীবের ঘাটে মরণ! জল বেশি
জমলে গোড়ায় চাষবাস জলে সব! সামনের গাছে দড়ি লাগিয়ে ছাড়া উপায় থাকে না আর!
সরকার তো খালাস বলেই! খবর ও তাই ঘোষণা যেদিন ওই নাড়া চাড়া দিন দুয়েক,
তারপর মরে আছি আমরা না বেঁচে জানি শুধু আমরাই।
ওই পুকুরটা দেখছেন ডোবা এখন জল ছেঁচেছে মাছ চাষ হতো আগে তা শুনলুম গত বছর
থেকে লিজ নিয়েছে নতুন কেউ! এখন বলে তো জল তুলে ফেলে সব মাটি ফেলবে - একশ
দিনের কাজ ওখানেই! নিজেদের ভাত মরা বুজিয়ে নিজেদেরই কৃপণ করা!
বছর বছর ভোট দিই ওই সিঁধে পুজোর মতন! সরালেও দোষ না সারলেও আবার। হবে
কি আর পাল্টানো শুধু রঙ রাস্তাঘাট পালা করে কাটা গাছ মুলুক যে মুলুক সেখানেই
আমরা। আছি থাকবো। করার কিছু নাই বলারও
তবে পুজো জমিয়ে হয় এখানে। এবার তো এই বাদলা তারপর অসুখ এয়েচে সব - তা
হলেও বিরাম নেই কাজের। আটচালা বাঁধা শুরু ম্যারাপও, রাতে চারটে ঘরের বাতি
একটা হ্যাজাকে ঢেলে! পড়াশুনার বাতিক নাই এমনিতেই আর এ সময় পড়ে টা কে!
সন্ধ্যে হতে না হতে মন্ডপতলা। মাটি মাখা গন্ধ!
অত সাজ শয়নের বালাই এখানে নাই। ঠাকুর গড়া আমাদেরই, পুজো মতে ওই ঘট দেখে
যেদিন পুরোহিত মশাই আসেন সবই হয় কাঁসর ঘণ্টা ঢাক - ছেলে ছোকরাদের আনন্দ
বাচ্চাদের। জামাকাপড় নতুন পেলে তো আর কথাই নেই! তারপর নম নম করে বিজয়ার
দিন সেই জলেই! মাটি মা ফিরে যায় ঘাটেই আবার
উম্ জীবন এরমই চলাও তাই রইলাম বেঁচে তো না হলে ওই গলা জলে ছেলে বা নাতি
ধড়া পড়ে কাঁধের কলসিটা এক মোচড়ে ভাঙা ব্যাস শেষ জীবন

কচি জলে ওই যে চ্যাঁচাচ্ছে ব্যাঙগুলো জীবন ওদেরই! চেঁচা চেঁচা পারিস যতদিন গলা
খুলে ডাক



আ!

গাছটা পাকুড় বা এমনই গাছ কোনো। পাকুড় গাছ দেখিনি কখনো জানিই না। বেশ ঝোপ
শুদ্দু এক মাথা ঝাঁকড়ায় গাছটা বসানো। একটা বাঁকের কোণ রাস্তাটা যেখানে পৌঁছে
কমায়
চারিদিকে জল শুধু ধানের মাঠ বা চাষের জলডোবা রোপণ ঘটা সবে। গাছটার পাশেই
একটা বাঁশের মাচা
যেটায় পা ঝুলিয়ে বসা আমি দেখছি ভাবছি কখনো চিৎ হয়ে
খুউউব খুব ইচ্ছে করছে এই জল আলপথ ডিঙিয়ে ওই পাড়ে ওই পাড়টা কিসের কি
আছে ওর পর?
মাটির বেঁটে বেঁটে বাড়ি টিনের টোপর চালে। লাল আলোটা দেখি জানলার ফাঁকে
ভিতরে প্রসব ব্যথায় কেউ তার হাত পা ছোঁড়া চিৎকার মাটি খামচে গরম জলের
ভেজানো কাপড়
পরের বাড়িটা অন্ধকার। মাঝে একটা কুপি রাখা টিনের কৌটো কেটে বানানো। চারটে
মানুষ বড় দুজন আর ছোটো দুই খালি গা শরীর পরনে
এক থালা ভাত মুড়ি জল নুন তাদের ফিসফিস কথা কি যেন বলছে কি যেন! তবে
ছায়াগুলো সবাই চুপ চারটে মাথা একসাথে ঠোঁটে আঙুল দেওয়ালে
বাকি পরের ঘরগুলো সবকটা খালি সবকটা বিহীন মানুষ। তার পরের ঘরটা গড়া চলছে।
মাটি লেপা সারা খড় শুকনো সব বড় বড় পাতা কুচিয়ে মাটির সাথে মেখে গাঁথন বসবে
দেওয়াল

এখানেই শেষ এখানেই মাত্র একটা গ্রাম। এর পরে কি আছে! এই ঘরগুলোর পরে
পিছনে!
জানি ফিরতে হবে আলো কমে আসছে মাটির ঘরগুলো টিনের টোপর। আলে দাঁড়িয়েছি
আবার
জল ভেঙে ভেঙে আল ডিঙিয়ে ওই গাছটা পাকুড়ই বাঁশের মাচা


তিন

শান্ত খুব নরম লাইন আসতেই উঠে পড়ি এখন থেকে তুলে না রাখলে
ভয় আসতাছে গো ভয় – আক্ষরিক অর্থে তিনি আমারই
আমরণ মরণশীল পানীয় হাটবেলা
কাঁচাখোলা ষরযন্ত্রগুলো কাপড়ে মুখ ঢেকেছে
এমন বলতে নেই জেনেই জলের ভেতর দৃষ্টি পড়ে
পাকা ফলের লাল সেও আমাতেই চেয়ে
বন্দী দশা ঘুচল?
গা ভর্তি জল আর দুপাশের মালপথ নিয়েই ছোঁয়া
আর একটু হৃদ হীন


বিদেরাই

তার দক্ষিণদিকে চিরখাতে বয়ে যাচ্ছে তর্ভা নদী। এ দেশের একমাত্র সুখচর। জল
যদিও খুব সামান্য থাকে এখানে, তবু দেখা দেখা সুখগুলো, প্রান্ত শুকনো খটখটে

নদী, তার মধ্যে যাবতীয় খড়কুটো জ্বেলে রাত বা কখনো তা প্রহরীরা। এ মাঝেরই
পশ্চিম চরে, চালা বেঁধে এই ক দিন কয়েক হল এসে জুটেছেন, বিদেরাই। তিনি আর
তার সঙ্গী পুরুষ কমলমোহন। দেশ জানে না, দেশ জানে তারা নারী পুরুষ, একে অন্যের
কদরে নিজেকে নিজেকে ঠাঁই পেতে এই বন্যান্তর। কমলকে যদিও ঠিক পুরুষ বলা যায়
কিনা, বিদেরাই জানেন না। তার অঙ্গশোভা। বুক থেকে চিরে নামা দ তারপর পেট,
অহিমুকুর হয়ে সম্ভবা। এখানে হা করে চেয়ে থাকলে, আক্ষরিক অর্থে হা এই।
একখানা বোয়াল মাছ, আধো আধখানা, যেন পুরো মুখটা সুপুরির ছলে, নিজেকে ধরতে
যাবার ছলে এ মাটি থেকে ওই মাঠ, পর নকুল বেশ। কমল স্নান করছেন এখন।
বিদেহের সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত। এ সময় তিনি যেন কমল নয়, নিজেকে দেখেন। নিজের
জলের ভার দেহ, কাঁধ হালকা ঠেলেছে, মৌখিক গড়িয়ে ভান হতে হতে বুকের এই কষ!
আ! বিষকানি পাত্র যেন উজাড়, যেন কেউ দেহের বিষ সারা অঙ্গে মেখে মথিত, আর
মথিত হচ্ছেন তিনি, তার নিচে উপরে দেহাপতিরতা কোমল! কঙ্গগমনে সুখের সুখের
যে চারধাম চৌর্য বৃত্তি!
না! সামনে থেকে সরে আসেন বিদেরাই। তিনি আসলে যেন খুব ধীরে কিন্তু মৃদু বুঝতে
পারছেন, কমল নয়, তিনি অন্য অন্য মনে, ধীরে ধীরে নিজের রাই, নিজের ভেতর
আলাদা করতে করতে।
পলকা বা ভাসির গুঁড়ো, সুখচাঁদের এই রাতে তিনি ঘর ছাড়লেন, ঘর খোলা দোয়ার,
ঘুমন্ত কমল। কোথায় যাবেন, বা যাচ্ছেন তিনি জানেন না, কিন্তু জানেন, তাকে যেতে
হবে, যেতেই হবে। খুঁজতে। রাইকে। বিদেরাইয়েরই কে সে রাই! কাকে তিনি নিজ হাতে!
তাকে খুঁজতে

​
1 Comment
বিশ্বরূপ বিশ্বাস
6/12/2020 18:27:25

৪টি লেখা-ই অনভাবনার।।

Reply



Leave a Reply.

    Archives

    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন