Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

গোলাপের  জন্ম ।। শুভদীপ মৈত্র

28/10/2018

0 Comments

 
Picture


গোলাপের জন্ম 
– ১  

প্রস্ফুটিত আনন্দ তোমার শরীর
গোলাপ ত্বনিষ্ঠ হও
দ্রিমিদ্রিমি যে বাজে তা বাইরের সংবেদ নয়
এই অনন্ত ডাক বোঝোনি বলে পাতারা শুকোয়।
সে রাতকে মনে রাখ যাতে চাঁদ ছিল না,
নক্ষত্ররাও দেখেনি তোমাকে,
পথের গোপন কোটরে তখন উপচে ছিল ঢেউ,
কাল এসে ঢেকেছিল
মোটর গাড়ির লোলুপ চোখ আর মাতালের চিৎকার,
অন্ধ করে রেখেছিল বধির করে রেখেছিল সময়কে স্থবির করে।
শুধু সেই পথ ঢুকে গেল তোমার
ঠোঁটের মধ্যে দিয়ে, জিভের স্বাদের সঙ্গে মিশে
নাভির মধ্যে দিয়ে ঘাম হয়ে, গভীরের মূলে
এখন সারা দিন অথবা রাতে অব্যক্ত ব্যথা
তুমি ভাব কীটের মতো ভাইরাস আক্রান্ত
আসলে তা হাজার গোলাপের বীজ শরীরে
আসলে সে পথ সে ফরিস্তা তোমার ভিতরে বাড়ছে
আসলে সে তোমার শুকনো স্তন থেকে দুধ চুষে
তোমাকেই রসবতী বানাচ্ছে,
আমি দিন দিন দেখছি তুমি ক্রমশ দুধেল,
তুমি গোলাপের মতো নিটোল, তোমার মন
সেই গোলাপের উপর জলের ফোঁটার মতো অস্থির টলটলাচ্ছে,
তুমি শেষ হয়ে যাচ্ছ নিজের মতোই
তোমার থেকে জীবন খসে আরো আদিম গুহামুখ খুলে দিচ্ছে
এরপর সেই অন্ধকার বীজ আমায় মুকুলিত করবে
তুমি সেই ফুল থেকে শুষে নিয়ে প্রাণ
গুহার ভিতরে ভরে তুলবে অনিত্যের মধু।

গোলাপের জন্ম – ২

মুঠো ভরে ধরো অন্ধকার
                                   আমার চুলের স্পর্শ পাবে,
সুচিক্কণ কম্পনে যাকে ভেবেছিলে গান
রাগমালা থেকে শেষ রাতের রাগিণী ছিঁড়ে
বৃন্তে নামা  সেই অনুভূতি সেঁধিয়েছিল ভয়।
 নিষিদ্ধ তা আলোর ভিতরে – বলে  নামহীন রেখে দিলে
তখন একটা সরু সুতোয় বসা মাছির অবাক চোখও
 মনে হয় কত আশ্বস্ত করল তোমাকে
অসীমের থেকে ঢের ভাল বলে, কথা জুড়লে তার সাথে
 এদিকে নিয়মিত শব্দেরা আমাদের মাঝে
গড়ল পাহাড়, নদী, মানুষের ভিটে আর অনাবশ্যক সমাজ।
                                                          
 জ্যোৎস্নাও মিথ্যে, আলোর ঢেউ যদি না ছিটকোয়
 কদাকার পাথুরে গোলোকে লেগে
যেমন সময়ের ক্যারাম-স্ট্রাইকে শুধু পারি দেয়
মৃত নক্ষত্রের যান, তার থেকেও অস্পষ্টতায়
আকাশের বুটিদার নক্সা ফেঁড়ে উঠেছে তোমার আঙুল
কায়াহীন ছবি হয়ে ভেসে যাচ্ছ, অফুরান পাপড়ি
বিন্যাসের দিকে,
  
     প্রস্ফুটিতা তুমি হবে কি আবার?
                                     – ভাবতেই দেখলাম
বিচিত্র সব মরা আলো সেঁধচ্ছে তোমার ভিতরে
আমার অন্ধকার শরীর ছেনে  
তুমি জন্ম দিচ্ছ নিজেকে
                  মৃত্যুর চূড়ান্ত আশ্লেষ নিতে নিতে।

গোলাপের জন্ম – ৩   

আসলে তার কোনো নাম নেই কেবল আকৃতি
অথবা শুধু উন্মোচন অপেক্ষা থাকে
তাই শব্দে শব্দে বাঁধা চিঠি পাঠাই ভ্রমর গুঞ্জনে
উত্তর অভীষ্ট নয় সে জানে – কারণ
তার স্বপ্নের ভিতর ঢুকে গেছে নৈরাজ্য বীজ
আর আমি দেবতা বা খোয়াবের দানো
ঘুমের ভিতর এসে মাটি খুঁড়ছি, কেয়ারি করছি,
                            জল দিচ্ছি তাতে।


অবদমিত গোলাপ – তোমার আর উপায় নেই
প্রত্যেক সকালে উঠে দেখ আমার দাঁতের দাগ
তোমার শরীর জুড়ে ফুটে উঠেছে
প্রতি রাতে আমাকে অঙ্কুরিত করছ নিজেই,
বিনিময় প্রথার সকালকে রোজ আগলাতে আগলাতে
   তুমি হয়ে উঠছ বিস্ফোরক ফসল।
তোমার নিরীহ দিন যাপন দেখে কে বলবে
শরীরময় নৈরাজ্যের বোমা বেঁধে তুমি
ঘুরে বেড়াচ্ছ সবজির দোকানে
          উঠছ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো
                                 ঈশ্বরের বাগানে।



গোলাপের জন্ম – ৪

অসংখ্য ফুলের পাশে নিষ্প্রভ, তবু ইঙ্গিতময় –
শব্দের থেকে মানে যেভাবে খসে যায়,
খুশবাই অথবা শায়ের-এর গুলাবো হয়ে
               স্রেফ খেচরান্নে ফোঁটা কাটা।

ইঙ্গিত তাহলে তার ভিতর ছিল না কখনো?
ছিল শব্দের মধ্যে অথবা আরো গভীরে
অন্ধকার গুহার ভিতরে
বাইসন, তীর-ধনুক ও বর্শার পাশে রাঙানো উজ্জ্বলে।

যে আঙুল ছুঁয়ে যেত সেই রঙের প্রলেপ
তার তাজা লালে বিঁধে থাকত কিছু কাঁটাও কখনো সখনো।
কাহ্নর পদের মধ্যে কবে সে ফুটেছে ঝরেছে
যেন নাম না জানা রূপক-জন্ম,
মেহেরউন্নিসার গজরায় বাদশাহর খোয়াব
ফুলপট্টি থেকে প্রেমচাঁদ বড়ালে রাত জাগে –


তবুও নির্বিকল্প থেকে তুলে এনে এখানে বসালাম যেই
অজন্তা বা ইলোরার মতো প্রত্যেক বুদ্ধ হয়ে উঠল মূর্ত, শাশ্বত।


গোলাপের জন্ম – ৫

এখন শোরগোল খুব, এখন হননকাল, এখন মেরুতে মেরুতে
টানটান উত্তেজনা স্থিতিস্থাপক হয়ে আছে
        এখন বাচ্চাদের সাইকেলের চাকায়ও – কাঁটা।
 এখন বাবল্‌স ফোলানো রিং থেকেও – বিষ বুদবুদ।
এখন জেনারেল কানামাছি খেলতে খেলতে
ছুড়ি দিয়ে কেটে নিচ্ছে মেয়েদের মাই,
এখন ওয়ার্ডেন-নারী ছাত্রের পাছায় সিগারেট নেবাচ্ছে।

এখনই তো সময়
ফুটে ওঠো, বারুদগন্ধী পাপড়ি ছেঁকে নেব
এস কালো চিতার মতো শরীরে
এসো শহরের বুকে আজ ল্যান্ডমাইন হয়ে শুয়ে থাকি
           – ওরা নিয়ে যাচ্ছে সব একেক করে
ওরা পোড়াচ্ছে গোপনে পাতার পর পাতা
বড় বড় গাছেদের কেটে কবিতা, গান, শিল্পের আসবাব
এভাবেই চেয়ার টেবিল পাপোষ হয়ে যাব জানি।
তবু বাজ পড়ার আওয়াজে সচকিত হই
শহরের, গ্রামের জ্বলন্ত চিতায় যখন বৃষ্টি নামে
তার ছ্যাঁক ছ্যাঁক শব্দে মনে পড়ে রাত্রি শেষের গান;
           আমি যাদের ভালোবাসিনি কোনোদিন
সেসব মুখগুলোও যেন আমারই জন্ম দেওয়া – উত্তর চাইছে।

ও গোলাপ, সন্তান ও প্রেমিকাসম
  হিংস্রতায় ফিরে এসো আমার কাছে,
রুটির ভিতর লুকিয়ে যারা এনেছিল তোমার খবর
অথবা ঢাকের কোনো অচেনা বোলে
           তেমনি ফুটে ওঠো। গোপনে। শত ফুল হয়ে....

0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন