Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

পাহাড়ের গান।।  শানু  চৌধুরী

15/6/2019

5 Comments

 
Picture

পাহাড়ের গান ১


তোমার পৃথিবী ভেঙে চলে গেছে পাহাড়ের ছায়া। যদিও এই তমোসুখের মেঘে  উড়ে যাচ্ছে একঝাঁক বরকতের ঐরাবত। তার নাভির শ্বাসে। আমরা খুঁজি। আমরা বাঁচি এই তিব্বতী লিপির শামিয়ানায়। যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষ বেঁচে ফিরছে তার নিজস্ব রূপ। আর ফুজুলের এক টুকরো গালিবের ঘরানা।


পাহাড়ের গান ২

সময়ের গায়ে বয়ে চলেছে আলতার দাগ। যেখানে কোনও স্বভাব থেকে দূরে গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়ে উঠছে নেপালী মেয়ের হাসি। কাঠের ঘরে ঘুম ভেঙে আসে এখন। পুঁথির সজ্জায়, করুণ জন্মের ভিতর হাত রাখে মায়া দেবীর বুদ্ধ। আর উত্তর দিকে চেয়ে আঁতকে  থাকা বেড়াল। আমার কাছে। পুঁথি ব্যবহারের শোকে ও ধূপের গন্ধে মঠের শ্রদ্ধার দিকে জ্বেলে রাখে ঘিয়ের প্রদীপ। যেখানে খাদের গায়ে লেখা ছিল হিনয়নার উৎসের সারকথা।

পাহাড়ের গান ৩

তোমার শব্দ থেকে ফিরে আসে একটুকরো আশ্বাস। যার গর্ভের কেশরে কোনও নৈয়ায়িক বিদ্যালয় ফেটে মেঘ হয়ে ওড়ে। চমরীগাইয়ের সুখ থেকে ফেটে ওঠে বিষাদভরা স্নেহের তছরুপ। বাবা রুটি নিয়ে ফেরে! জলের কুলকুল ছন্দের অক্ষরে শিলাবৃষ্টিজনিত শিশু গোল গোল হাত ছুড়ে দেয় পাহাড়ের কোলে। যেখানে স্বপ্ন নেই! শুধু
দেশলাইয়ের আগুনের মতো উপোস করে আছে একঝাঁক তারাদের বাড়িঘর।

পাহাড়ের গান ৪

এই কুসুমে রুমাল ছুঁয়ে দেখার দিনে, তোমার পরশে বেলা হয়ে উঠছে কাঞ্চী। আর অর্বাচীন মেঘে স্কুল ফেরত ছাত্রী লাঠির ভরে স্পর্শ করছে ফার্নের ইতিহাস! এখন বিকেল! ঝরণার গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে কাঠের উপাধিগুলো। যার ভরসার হাতে সেবক হয়ে উঠছে তিস্তার নদীজলে ফর্সা পতাকার কাঁটাতার।

পাহাড়ের গান ৫

কোনও পাঠোদ্ধার করা লিপির আড়ালে জন্মেছে বুদ্ধের মায়া। যেখানে বাষ্পের রডোডেনড্রন ছাতার আড়ালে রেখেছিল এক প্রণোদিত ঈশ্বর। সেখানে আকাশ বিকেলের কাছে দাঁড়ালে ঋণী হয়ে যায়! যার নির্গুণ আয়না শপথের মতো বিলিয়ে দিতে পারে মাদকের পিপাসা। অথচ টিলা খসার পর থেৎলে যাচ্ছে এক জবাবি পাহাড়ি ফুল, যার জন্মের যমন্তকে পীড়িত দ্বিধারা ক্ষয়ে দিচ্ছে দেবীমাহাত্ম্যের কারুকাজ।

পাহাড়ের গান ৬

চড়াইয়ের সতীত্বে খেলা করছে মগ্ন এলাচের খেত। যেখানে এক উপজাতির মোহময় দানা কেটে রেখেছিল করুণ জৈবিক ইতিহাস। অথচ দুপুর ভাঙার আগে ফিরে এসেছি আমরা সশব্দ সোনার ঘোড়ায়। যার ক্ষুরের দাগের বলিষ্ঠতা ছেঁকে ফেলেছে যাবতীয় নূর! কোথায় দাঁড়াই। তুমি বলে দাও সুরার প্রচ্ছন্ন নড়াচড়ায়। যেখানে জীবিত বলতে ডালপালার মেহরিন কেটে যায়।

পাহাড়ের গান ৭

বিশ্বাসী গীর্জায় নতজানু হচ্ছে পাইনের শুভকথা। যেখানে আগুনের আগে ফুলকির নিস্তব্ধতায় অশ্বত্থের ঠুনকো ঝিনুক বেছে দিল করুণ জল। হাঁটার সন্নিবেশে। রাতের রডোড্রেনডন খসে যে স্নাতক বীজ আমাদের শেখালো হাঁটার ক্ষমতা তাদের অক্ষৌহিনী পংক্তির মালা তুমি নিও ঈশ্বর! যেখানে পাপের ভারাক্রান্ত সই রোদের মতো চেয়ে দ্যাখে ফুলের প্রৌঢ়ত্ব।

পাহাড়ের গান ৮

মানুষ আর পাখির প্রভেদে যেটুকু চা বাগান তাঁর ভেতর গামবুট পরে হাঁটছে লিম্বো জাতির কৃষক। এখন পাতা ছেঁড়ার যেটুকু গুঁড়ো মৌসম, তার উজ্জ্বল স্থল থেকে কে যেন কেড়ে নেয় দানবিক সময়। দু'টো হাত আর হতাশার বেদনায় কারা যেন গুটিয়ে নিয়েছে পাহাড়ের আস্তিন ও ছড়ে টান লাগা দীর্ঘ সরগম। তবু মোহর কোড়ানোর সাধ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে দেখেছি আমি শ্লীলতাহানির বিরক্তিভরা বার্লির বিশ্বাস।

পাহাড়ের গান ৯

বুনোফুল তোমার আশ্চর্য বুকে মাথা পেতে শুই। এই নির্মম চুলের আসবাবে যা কিছু দেখেছি তার ছায়ানট মেলে যে নর্তকীর মুদ্রা তার গোপনাঙ্গে জন্মাতে চাই আমি। তবুও অভেদ্য মাশরুম পিষে চলে যায় কার দৈহিক চেতনা? তবুও পাহাড়ের সম্মুখে কার অক্ষমতা! নুনের মতো যৌবনের নাড়ির টানে খনন করেছে সেতারপ্রসূত গ্রাম। আমরা তার বুকের রুবাবে দেখেছি মহিমান্বিত গর্ভধারিণীর আপাত অভিজ্ঞতার স্নান।

পাহাড়ের গান ১০

কোথায় সে হ্রদ? যার কাছে মানত করেছিলাম আমি। খুচরো পয়সার সাথে আদিগন্ত ভালবাসা দেখে উপত্যকা, ভুল ভেবেছিল সমস্ত সাদা পতাকার ফেলে আসা লাশ। মাতৃগর্ভ আমাদের লালরঙে ফেটে যাওয়া দেখে এঁকেছিল করুণ রত্নের শিখা। যেখানে বলবার চেয়েও কোনও সাঁকোর দূরত্ব ছিনিয়ে নিয়ে দোলকের ভূমিকায় খয়রাতি গুনছে সুসময়।

পাহাড়ের গান ১১

ব্রথেল ছুটি হলে সদর দরজার চিহ্নগুলো তোমার মনে পড়ে। অথচ আঁতুড়ঘরের নিবিড় ধুনোর গন্ধ সাক্ষী করে রেখেছে তোমায় লালপতাকার সমীহে। এ যাবৎ বড়ো চঞ্চল ও তাড়াহুড়োয় পাখির হলুদ, কুড়িয়ে এনেছে খড়কুটো। কুড়িগ্রামে যার দারিদ্র্য ফেটে পড়ে। যে তুষার খেলা হয়েছে এতক্ষণ তার জুতোর রঙে কত বিলাসিতা। দেখেছো তুমি মদের গ্লাসে গ্লাসে। যে স্কুল ছুটি হয়ে গেছে তার ছাতায় ভুল কারুকাজ মুছেছো তুমি। বৃষ্টিতে রুবাব বাজে সাহিরের ঘরে। যেখানে তার দিদি কাঠ কেটে সাজিয়েছে সমাপ্তির বন।

পাহাড়ের গান ১২

জিন্সের পকেট থেকে ক্ষয়ে গেছে রংপেন্সিল। অথচ জাফরির অপারগ টানে দেবনাগরী ভাষার যুবক বেঁধে রেখেছে পাথর। যাঁর গামবুটে বেদনা ভরা। ফলনের থেকে কচ্চিৎ অবসরে ছুটির গাঁয়ে রেখেছে পাউরুটির দাগ। এ ভুবন তমসাময়। এ প্রার্থনার চাকা বড় ঐতিহ্যের জবাব! যেখানে ভালবাসার কিছু চিবুক দামের তুলনায় ন্যুব্জ করেছে কাপড়ের কৈশিকতা।
​
5 Comments
Swadesh Misra
23/6/2019 19:04:07

Sheer brilliance !!! ♥️

Reply
Sanjukta
23/6/2019 19:08:23

Tremendous passionate!

Reply
ইন্দ্রনীল link
25/6/2019 11:16:16

অপূর্ব। কবিতাগুলোর মধ্যে দিয়েও যেন কেউ ভ্রমণে চলেছে, বারবার পালটে যাচ্ছে আবহ, দৃশ্যপট। পড়তে পড়তে ভ্রমণটা টের পাওয়া যায়।

Reply
আকাশ সরকার
26/6/2019 13:43:43

চলমান ছবির মতো উজ্জ্বল সুন্দর এই কবিতাগুলো। অসম্ভব সুন্দর একটা জার্নির ভেতর দিয়ে নিয়ে গেল আমায়।

Reply
Sahir
26/6/2019 20:21:39

Bhai you are amazing! Loads of love :)

Reply



Leave a Reply.

    Archives

    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন