Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

গ্রেগরি   করসোর   "বিয়ে"।।   রমিত দে

7/4/2019

0 Comments

 
Picture
(বিট প্রজন্মের তরুণতম কবি গ্রেগরি করসোর জন্ম ১৯৩০ সালে নিউ ইউর্ক শহরে। তাঁর কবিতা দৃশ্যগল্প, সোজাসাপ্টা বক্তব্য, বিচিত্র শব্দচয়ন, হাস্যরস এবং সর্বোপরি বিদ্রোহী ভাবমূর্তির জন্য সুপরিচিত। বিট প্রজন্মের 'ব্যাড বয়' হিসেবে খ্যাত করসোর প্রিয় বন্ধু ও শিক্ষক ছিলেন প্রবাদপ্রতিম কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। গিন্সবার্গ, করসো, জ্যাক কেরুয়াক এবং উইলিয়াম বারোজের সেই গোষ্ঠীই পঞ্চাশের দশকে বিট প্রজন্ম হিসেবে সাহিত্যের জগতে ঝড় তোলে। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-'দ্য ভেস্টাল লেডি অন ব্র‍্যাটল' এবং 'দ্য মিউটেশন অফ দ্য স্পিরিট।' 
'ম্যারেজ' খুব সম্ভবত করসোর সর্বাপেক্ষা স্বকীয় কবিতা। ১১১ পংক্তির এই দীর্ঘ কবিতায় কোনো ধারাবাহিক ন্যারেটিভ নেই, বরং এক দীর্ঘ ঘ্যানঘ্যানে স্বগতোক্তির মত এর চলন। করসোর নিজের বয়ানেই পংক্তিগুলো 'জাস্ট ফ্লো লাইক আ মিউজিকাল থিং উইদিন মি।')



আপনারাই বলুন না, এবার কি তবে বিয়েটা সেরে ফেলা উচিত?
           বারবার প্রশ্ন না করে ভাল ছেলে হয়ে যাই – এটাই চাইছেন?
চাইছেন পশমের পোষাক আর গোল টুপিটা পরে পাশের বাড়ির মেয়েটাকে
                                                        তাক লাগিয়ে দিই?
আমি বলব ওকে সিনেমায় না নিয়ে গিয়ে কোনও একটা কবরস্থানে নিয়ে যাও
পুঁজিপাটার অনেক দূরে প্রথমে গল্প হোক সেই নেকড়েমানুষকে নিয়ে,
এরপর কুয়াশার মত দাঁতওয়ালা নিষিদ্ধ শিঙার শব্দ
                       ‘ঘাড় বেঁকে ওর আত্মায়  ঢুকে গেলে’
ওকে চাও,
চুমু খাও
আর  তারপর ও চলে যাক অনেকদূর
                            অনেকদূর মানে অনেককককককককক দূর
দেখা শেষ হলে যেখানে একটি মিলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য আমি দেখতে পাচ্ছি
রাগহীন অভিমানহীন হারিয়ে যাওয়ার আগে শুনতে পাচ্ছি শরীরহীন সেই স্বর
             ‘অনুভব করো’...
‘যাওয়াটুকুকে অনুভব করো’..
যার জন্য অপেক্ষায়, আমি কখনও মানতে পারিনা উলঙ্গ শবের মত
দুহাতে জড়াব তাকে।
বরং ভাঙা সমাধিতে ঠেস দিয়ে দাঁড়াক
আকাশ ঝুঁকে পড়ুক মুখে
আর গোটা রাত্রি জুড়ে ভাঙা নক্ষত্ররা চেয়ে বসুক ওকে...
 
অথচ এ ভাবনাটাও তো আসছে!
যখন ও আমাকে ওর বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করাতে যাবে
মানে, যখন কনুই দিয়ে নিজেকে গুঁতিয়ে শিরদাঁড়াটা সোজা করব
আর প্রথম বার চিরুনি দেব চুলে 
আর যখন চামড়ার ওপর দিয়ে প্রথমবারের মত
                                        ঝুলিয়ে নেব নিষ্প্রভ একটা সাদা টাই
 
তখন কি দু হাঁটু মুড়ে দু কদম পিছিয়ে পুটকি মেরে বসে পড়া উচিত
ওদের ওই পাখির মত সোফাতে !
তখন কি একবারের জন্যও বলা উচিত নয়- ‘বাথরুমটা কোথায়?’
কিছুতেই বুঝিনা আমাকে ছাড়া কিভাবে আর আমাকে ভাবতে পারি
না হয় ফ্লাস গর্ডন সাবানের গন্ধটা মনে মনে ভেবে নেব
কিন্তু, তাতেও কি...
একটা  কমবয়েসী ছোকরার কাছে পুরো ব্যাপারটা কি ভয়াবহ
সেটাই ভাবার চেষ্টা করছি।                                                                            
এইখানে মেয়ের বাবা-মা আর এইখানে ছেলেটি     মুখোমুখি
না, কেউই পুরোপুরি অসহ্য নয়
আবার কেন্দ্রীয় ভারসাম্যের মত মাঝের নীরবতার কোনো শব্দ নেই জেনেও
দুপক্ষই ঝুঁকে পড়েছে পুরোপুরি দুপক্ষের সামনে
আর মেয়ের পরিবার ভেবেই যাচ্ছে চেনা নেই জানা নেই
                                  অথচ ও আমাদের মেরিকে চায়...
তারপর চা আসবে
তারপর বাড়ির তৈরী কুকিজ
তারপর সেই অমোঘ প্রশ্নটি - কি করো তুমি?
 
বলে দেব ওদের কে? বলে দেওয়ার পর আমাকে পছন্দ করবে?
বলবে, ঠিক আছে বিয়ে করে নাও?
একটা মেয়ে হারিয়ে একটা ছেলে তো পেলাম !
আর ঠিক তখনই কি আমার বলা উচিত - ‘বাথরুমটা কোথায়?’
 
আর বিয়ে! উফ! চারদিকে সাজুগুজু করা মেয়ের বাড়ির লোকজন
আর আমার সেই ধর্মহীন ক্ষুধার্ত কুকুরের মত গোঁফ দাড়িওলা কয়েকটা বন্ধু
যাদের কাছে ওই খাবার টেবিলটা ছাড়া কোনকিছুই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
 
আর ওই পুরোহিত! তাকিয়ে রয়েছে এমন যেন
                       আমি আমার লিঙ্গ নিয়ে খেলা করছিলাম লুকিয়ে
এইমাত্র ধরে ফেলেছে।
একটি নিঁখুত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে
একটি জীবাণুশূন্য বাতাসের ভেতর দাঁড়িয়ে
ও আমাকে জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি মেয়েটিকে আইনত স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চাও?’
আর আমি?
একটি নিঁখুত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে
একটি জীবাণুশূন্য বাতাসের ভেতর দাঁড়িয়ে
ভাঙা ডানা নিয়ে
তখনও আমতা আমতা করব
 
তারপর চুমু খাব কনেকে,মানে আমার সদ্য বিবাহ সম্পন্না বউটিকে
পাশ থেকে কাঁধ ঝাঁকিয়ে দেবে কেউ, এগিয়ে দেবে লাল কারনেশন
কেউ আবার কিচ্ছুটি না দিয়েও বুঝিয়ে দেবে
                 এসবই দাবার ছকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা নিছক দুর্ঘটনা।
ওরা বলবে - ‘ এখন থেকে ও শুধুই তোমার’- হা হা হা
ওদের চোখের দিকে তাকালে তখন একটাই দৃশ্য
      - একটা রগরগে অশ্লীল ফুলসজ্জা-     যা ঘটতে চলেছে...
 
তারপর!
সেই একই গল্প।
                রান্নাবান্নাজুতোটুতোটুপিফুপিবরবউবন্ধুবান্ধবফুলচকোলেট
প্রান্তর পথ রক্ষ যক্ষ ভোজ্য ভাষা – ওদের সব এক।
শয়ে শয়ে ওরা ঢুকে পড়বে একই বাসরে
ঢুকে পড়বে গরম কোনও হোটেলে- যেখানে তৃষ্ণার বিপরীতে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে
তীব্র কোনও আলো।
আজ রাতে ওরা সবাই একই কাজ করবে
একই? হ্যাঁ-একই কাজ !
হোটেলের অবিচলিত ক্লার্কটা জানে এরপর কি হতে চলেছে
লিফটম্যান জানে এরপর কি হতে চলেছে
লবির জম্বিটাও জানে
এমনকি চোখ পিটপিট করতে থাকা বেল-বয় টাও...
ওই একটাই কাজ।
সব্বাই জানে!
সব্বাই?
 
দুঃখিত, জানা জিনিস আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারিনা
কিচ্ছুটি করব না। শুধু সারারাত জেগে থাকব !
স্বাভাবিক বাতাসে অস্বাভাবিক স্থির ওই ক্লার্কটার চোখে চোখ রেখে !
চেঁচাব। অপার্থিব এক চিৎকার।
              পরবর্তী অন্ধকারের কাছে হারতে চায়না এমন এক চিৎকার!
 
আমি এই নিয়ম মানিনা!
আমি এই নিয়ম মানিনা!
 
এ নিয়ম আমার কাছে অবিশ্বাসী, অভিশাপগ্রস্ত।
এ বাসর ,ফুলসজ্জা, সাদা বরফের মত এই সহবাস-
                                    তার প্রতিটা দাগসুদ্ধ আমি তাকে অবজ্ঞা করি !
সে মূহুর্তে আমি দৌড়তে থাকব,
বেঁচে থাকার প্রমাণ  দিতে না পেরে তোবড়ানো ধাতুকলিজা নিয়ে দৌড়ব।
ওই গরম হোটেলের নরম করিডোর ধরে দৌড়ব
দৌড়ব “পরমায়ুহীন বিদ্রোহী”র মত “ বাঁচার ওষুধ” চেয়ে
দৌড়তে দৌড়তে সোজ্জা চলে আসব নায়াগ্রার কাছে।
সেই আমার শেষ আসা। সারাজীবনের আসা।
ওখানেই প্রপাতের নিচে পিছলের মত থমথমে একটা অন্ধকার গুহায়
                                                বসে থাকব আমি।
চুপটি করে।
আমি, মানে, ফুলসজ্জার বাসর থেকে পালানো একটা পাগল
সে মূহুর্তে যে কিনা শব্দহীন পাথর ঠুকে ঠুকে
                      বিয়ে নামক একটা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইছে।
অথবা ধরা যাক কষিয়ে একটা লাথি মারতে চাইছে
                      মিথ্যে মিলনের ভিত্তিপ্রস্তরটুকুতে
শেষবারের মতন।
 
কিংবা হলুদ মত্তজল আর মুখোশ থেকে
ঘুমন্ত সমাজ আর পারাপারহীন স্রোত থেকে পালিয়ে আসা
অস্ফুট চিৎকারে গুটিয়ে নেওয়া ঐ খর্বকায় শরীরটাকে সাধুও ভাবতে পার।
বিবাহ নামের বিদ্রুপে      বিচ্ছেদচরিত হাতে নিয়ে
                                             বসে থাকা এক সাধু।
 
কিন্তু সত্যিই ভাল ছেলেদের মত
                   এবার আমার বিয়েটা করে নেওয়া উচিত!
সাংঘাতিক কিছু তো নয়, একজন ভাল বর একজন ভাল বাবা - মানে যেমন সবাই হয় আর কি!
বাড়ি ফিরব নতুন ফুল কিনে, আগুনের পাশে এসে বসব, বউ তখনও রান্নাঘরে
ওর ভেতর ঢুকে পড়তে চাইব সমুদ্রের অস্ফুট ধ্বনির মতো
ও আমার কাছে বাচ্চা চাইবে
আর পুরো ব্যাপারটা মদ মাংস স্বপ্নের উদ্ভাসে ছায়াঘন হয়ে উঠবে
যখন ও মুখের সামনে এগিয়ে দেবে লাল হয়ে ওঠা বিফের টুকরোগুলো
দুঃখও যে পাবেনা তা নয়, দু একটা বাসি ফুলের মত সেসব দুঃখ
                          উঠে আসব দাদুর ছেড়ে যাওয়া দোলনা থেকে
তারপর গান শোনাবো। মরে ছাই হয়ে আসা আলো। ঠান্ডা। শক্ত। ওরই ভেতর এগিয়ে আসবে দুজোড়া চোখ আর একজোড়া হাসির শব্দ...
উফ, ভগবান ! কত কিছু করার আছে আমার একজন ভাল বর হয়ে!
 
না , না, এত ভেবে লাভ নেই। বিয়েটা আমার করে নেওয়াই উচিত!
কত কিছু করার আছে!
যেমন ধরুন মিঃ জোন্সের বাড়িতে গভীর রাতে লুকিয়ে চুরিয়ে ঢুকে পড়ে
ওর পুরো গলফ ক্লাবটাকে বিশ শতকের নরওয়ের বই দিয়ে ঢেকে দেওয়া।
যেমন ধরুন লন মোয়ারের ওপরে র‍্যাঁবোর ছবিটাকে ঝোলানো।
কিম্বা টানু-টুয়ার স্ট্যাম্প দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া পুরো বেড়াটাকে।
আবার ধরুন কম্যুউনিটি কালেকশনে মিসেস কাইন্ডহেড এলেই ওনাকে জড়িয়ে ধরে
জানতে চাইব-
আকাশে আজ আলো নয়,অপবিত্র আত্মাদের অনুরোধ শুনতে পাচ্ছেন কিনা!
আর ভোটের জন্য মেয়রের আবির্ভাবে প্রথম প্রশ্নটাই হবে, কবে আপনি নির্বিচারে তিমি শিকার বন্ধ করতে ঠিকঠাক একটা পদক্ষেপ নেবেন!
দুধের বোতল নিতে এলে গোয়ালাকে আমি চিরকূটে লিখে দেব- পেঙ্গুইনের গুঁড়ো চাই। পেঙ্গুইনের গুঁড়ো। বেশি নয়, একমুঠো হলেও পেঙ্গুইনের গুঁড়োই চাই...
 
আর হ্যাঁ, যদি আমি বিয়ে করি, আর  জায়গাটা কানেক্টিকাট হয় ,আর বরফ পড়ে, আর সময়টা এমন যখন ওজন বাড়িয়ে সদ্য বাচ্চা বিয়োনো আমার বউ , আর আমি জেগে আছি, নিজেকে বহন করে, রাতে ঘুম নেই, অতীত আমার পেছনে আর আমি মাথা দিয়ে আছি জানলায়, বৃষ্টি আর আলো নিয়ে তখনও দ্বিধান্বিত এমন একটা জানলায়...                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                             
মনে হবে সহজের মধ্যেও সারারাত ধরে কাঁপতে থাকা একজন একা
মনে হবে বাড়িয়ে দেওয়া স্মৃতি,আর ছোটো ছোটো দীর্ঘশ্বাসে ধুয়ে দেওয়া হচ্ছে
তার দাঁড়াবার জায়গা।
একজন নেতিমানব।
প্রায় মানুষের মত একজন একা...
দায়িত্ব বোঝে অথচ আটতে পারেনা কালো পৃথিবীর কালো দড়িতে
হাসি সে জানে, অথচ জীবনে ফেরার ভৌতিক হাওয়া
                                   বারবার ঘুম পাড়িয়ে দেয় তাকে  
 
এসো, এভাবেই বিশ্বাস করি পিতৃত্বের শুরুটা।
একটা রাবারের চুষিকাঠির সাথে এল একটা বাচ্চা
আর সাথে এক ব্যাগ ভাঙা বাখের রেকর্ডের ঝনঝনানি
ওর ঝুলন্ত বিছানায় নজরে আসবে পিয়েরো ডেলা ফ্রান্সেসকার ছবিগুলো
ওর লালাপোষে গ্রীক বর্ণমালার কোনো একটা প্রকল্পের অংশ
আর ওর খেলার জায়গাটা যেন পাহাড়ের উপর, খোলা আকাশের নিচে
যেন আথেনাকে উৎসর্গীকৃত পার্থেনন...
 
 
উঁহু, আমার সন্দেহ আছে!
এমন একটা বাবা হতে পারব বলে আমার এতটুকু বিশ্বাস নেই।
 
এখানে বরফ নেই ,বড় কোনো জানলা নেই
নেই নির্সগের নির্দেশ, কেবল মেঘলিপ্ত নিউইয়র্ক সিটি।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে জান্তব একটা গন্ধ আর
গন্ধ থেকে চুঁইয়ে আসা ইঁদুর আর আরশোলার মজার শব্দ।
এখানে মহৎ অন্ধকারে টুকরোগুলোকে এক এক করে কুড়িয়ে নিচ্ছে অন্ধ রাষ্ট্র
ভোর থেকে তার সাত সাতটা উড়ান
ভোর থেকে তার বাচ্চারা নাকের পোঁটা মুছে ঘুরে বেড়ায় ব্যাটম্যানের খোঁজে
আর প্রতিবেশিদের দাঁত নেই, শুকনো চুল, মোহগ্রস্ত প্রাচীন ডাইনির মত
সবাই টিভি দেখতে চায়
ভাড়া চায় সবাই
ভাড়া চায় মালিক
মুদির দোকান,
ব্লু ক্রস,
ইলেকট্রিক অফিস,
নাইট অফ কলম্বাস
ভাড়া-
ভাড়া-
ভাড়া-
ভরের সাথে গাদাগাদি করে ভরে দেওয়া হয়েছে অদৃশ্য ন্যাংটো এক ভাড়া
এখানে একটু পিঠ পেতে শোবে!- হবে না
স্তব্ধ হয়ে বসে থাকবে! – হবে না
স্বপ্ন দেখবে তুষারপাতের, একটা জিরানিয়াম গাছের!
নিদেনপক্ষে একটা ভুতুড়ে পার্কিংয়ের!- হবে না
.
না, না, অসম্ভব। বিয়ে আমার করা উচিত নয়। কোনওদিনও না।
 
কিন্তু ভাবা যাক- খুব সুন্দরী একটি মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে, প্রকৃত অর্থে সুন্দরী, লম্বা, কালো ভদ্রস্থ পোশাক পরিহিতা আর হাতে কালো দস্তানা-এক হাতে সিগার হোল্ডার আর অন্য হাতে পানীয়-বরফ ভাসছে সামান্য ওপরে আর আমরা পেন্টহাউসের অনেক ওপরের তলার একটা ঘরে অনেক বড় একটা জানলার সামনে যেখান থেকে পুরো নিউ ইয়র্ক শহরটাকে দেখা যায় এমনকি আকাশ পরিষ্কার থাকলে আরও বহুদূর দেখা যেতে পারে...
না। ভাবতে পারছি না। কিছুতেই না। কষ্টকল্পনা করেও না।
এত সুন্দর একটা খাঁচার স্বপ্ন আমার পক্ষে ভাবা সম্ভব নয়।
 
কিন্তু ভালবাসার কি হল?
ভুলে গেছি।
এমনটা নয় যে ভালবাসতে পারিনা।
এটা অনেকটা এমন যে ভালবাসাটাকে আমার আজকাল জুতো পরার মত মনে হয়-
মোজার ওপর কিছু একটা চাপিয়ে নেওয়ার মত অস্বস্তিকর।
আমার মায়ের মত কোনও মেয়েকে কখনই বিয়ে করতে চাইনি আমি।
আর ইনগ্রিড বার্গম্যান তো বরাবরের মতই ধরাছোঁওয়ার বাইরে।
আর হয়ত অন্য কোনো মেয়ে থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু তারা ইতিমধ্যেই বিবাহিত
আর আমি ছেলেদের পছন্দ করিনা।
আর
আর...
কিন্তু কাউকে না কাউকে তো একটা হতেই হবে !
বিয়েটাকে মেনে নেয়নি যারা।
নাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়- যখন ৬০ বছরের বুড়ো আর বিয়ে করিনি,
একা একটা সাজানো ঘরে থাকি, থাকি মানে জাঙ্গিয়া ভরতি হিসির দাগ নিয়ে
 তখন অন্যেরা সবাই বিবাহিত
   আমি ছাড়া পুরো পৃথিবী বিবাহিত !
 
এত কিছুর পরেও মনে হয় যদি কোথাও একটা মেয়ে থাকে,
যেমন আমি আছি,
মানে, আমার মত,
          তাহলে বিয়েটাও হয়ে যাবে।
যেমন নরম নিঃসঙ্গ গয়নাগুলো নিয়ে শ্বেতসারসের মত সে অপেক্ষা করছে
                                        তার ইজিপ্সিয়ান প্রেমিকের জন্য
তেমনই তো আমার প্রতীক্ষা-
   
    জীবনের স্নানে অজীবনের ছোট্ট জাহাজটিকে ভাসানোর প্রতীক্ষা...                                 
       ২০০০ বছরের মীমাংসাহীন প্রতীক্ষা...
 


0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন