Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

বিষণ্ণ   আত্মার   গান।। অর্ঘ্যদীপ  ঘোষ

28/2/2019

0 Comments

 
Picture
(1)

Song : True Love Waits

সত্যিকারের প্রেম? এবং সেই প্রেমের জন্যে দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ এবং মাসব্যাপী অপেক্ষা? অন্তিমে পুরস্কার হিসেবে একজন আদর্শ, একেবারে আপনার মনের মতো সোলমেট? জন্মজন্মান্তরেও ফিকে হবে না এমনই এক স্বর্গীয় রিশতা? আর নেপথ্যে তখন একনাগাড়ে বেজে চলেছে লা লা লা লা লা অথবা হেঁ হেঁ হেঁ হোঁ হোঁ ইত্যাদি সুরধ্বনি?

গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা আপনাকে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, ইয়ে সুবিধা ইহাঁ প্যর উপলব্ধ ন্যহী হ্যায়।

বরং খুব মনকেমন করা একটা হাওয়া বইছে এমন সন্ধেবেলায়, গায়ে সামান্য জ্বর নিয়ে, ভূতে পাওয়া কোনও চিলেকোঠা ঘরে যদি আপনি উঠে যেতে পারেন একা একা...এবং ঝাপসা চোখে তাকিয়ে থাকতে পারেন দূরের আকাশ, রাস্তার হলুদ, অস্পষ্ট  আলো আর বিষণ্ণ বাড়িঘরের দিকে...

তাহলে এই গানটা আপনার শোনা উচিত সেদিন। হ্যাঁ, সত্যিকারের প্রেম আর সেই প্রেমের জন্য অন্তহীন অপেক্ষা এগুলোর কোনওটাই হয়ত সত্যি নয়। তবু দেখবেন, কিছু কিছু মিথ্যে এমনও হয়, যা আমাদের জীবনের সবটুকু শূন্যস্থানকে অনেকখানি পূর্ণ করে দিতে পারে....

"I will drown my beliefs
To have your babies
I will dress like your niece
And wash your swollen feet

Just don’t leave
Don’t leave

I am not living
I am just killing time
Your tiny hands
Your crazy kitten smile

Just don’t leave
Don’t leave

And true love waits
In haunted attics
And true love lives
On lollipops and crisps

Just don’t leave
Don’t leave..."

(2)

Song: Creep

যে চলে যাচ্ছে, তাকে যেতে দিই। বরাবর। এবং যে অস্বীকার করেছে আসতে, তার নাম ধরে ডাকি না আমি আর। ''তাকাতে পারি না আমি ও চোখের সোজাসুজি রিকশার ভীষণ তাড়ায়''। যদিও জানি, আগামীর কোনও সংখ্যা নেই। কাঙাল মালসাটের শেষ চ্যাপ্টারটা মনে পড়ে। পাতার ডানদিকের  কোণায় ফার্স্ট ব্র‍্যাকেটে লেখা - "চলবে না"।

এবং যে চলে যাচ্ছে, তাকে যেতে দিই। সব সময়। তার আগে সারারাত তাকিয়ে থাকি ইনবক্সের ওই সবুজ আলোটার দিকে। না, কোনও রিপ্লাই আসে না। ক্রমশ চোখ দু'টো ঝাপসা হয়ে যায়। তবুও তো অনিদ্রা অসুখ। তবুও এই অপেক্ষা অবুঝের। আশঙ্কারাও তো অজানাই হয় শুরুতে। ''হয়ত অন্য কারোর সঙ্গে কথা বলছে'' এবং ''হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছে''-র মধ্যবর্তী ভাবনাদের পেরিয়ে যেতে থাকি সন্তর্পণে। যতদিন না স্পষ্টভাবে জেনে যাচ্ছি সেই ছেলেটা কে বা সেই ছেলেগুলো কারা। তারপর অভিমান বেশি হলে, একদিন সবুজ আলোটাও নিভিয়ে দিতে হয়।

অতএব যে চলেই যাচ্ছে, তাকে যেতে দিই। প্রতিবার। পিছু ডাকি না। বারান্দায় গিয়ে গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকি না আর। সরে আসি। ফিরে আসি। যেখানে আমার থাকার কথা নয়, থাকি না সেখানে। এবং আমার সেই না থাকাটা চোখেও পড়ে না কারোর। অগত্যা, নিজের সব অযোগ্যতা, সব ব্যর্থতাবোধকে মেনে নিতে থাকি। মেনে নিতে থাকি। আশা রাখি, একদিন এই সবকিছুই হয়ত ঠিক সহ্য হয়ে যাবে আমার।  

আর যতদিন না সেটা হচ্ছে, রেডিয়োহেডের "ক্রীপ" গানটা শুনি। অন এ লুপ।

''When you were here before
Couldn't look you in the eye
You are just like an angel
Your skin makes me cry

You float like a feather
In a beautiful world
And I wish I was special
You are so very special

But I am a creep, I am a weirdo.
What the hell am I doing here?
I don't belong here

I don't care if it hurts
I want to have control
I want a perfect body
I want a perfect soul

I want you to notice
When I am not around
You are so very special
I wish I was special

But I am a creep, I am a weirdo.
What the hell am I doing here?
I don't belong here

She is running out again,
She is running out
She is run run run run

Whatever makes you happy
Whatever you want
You are so very special
I wish I was special

But I am a creep, I am a weirdo,
What the hell am I doing here?

I don't belong here.
I don't belong here.
I don't belong here.''


(3)

Song : Last Flowers

উৎসবের দিন এলে, জানি না কেন, আমার থেকে থেকেই খুব কান্না পায়। শহরের আলোঝলমল সন্ধেগুলো অসহ্য বোধ হতে থাকে। কী বিশ্রী এই ভিড়, কত দীর্ঘ এই ফিরে যাওয়ার পথ। সামনেই সাদা পাঞ্জাবী পরা ছেলেটা হেঁটে যাচ্ছে। আর তার হাতের আঙুলে নিজের আঙুল জড়িয়ে হাঁটছে একটি মেয়ে। সে পরেছে একটা ময়ূরকণ্ঠী রঙের শাড়ি । হাঁটতে হাঁটতে, মেয়েটি মাঝেমাঝেই মাথাটা এলিয়ে দিচ্ছে ছেলেটার কাঁধে।  এবং তাদের পাশাপাশি হেঁটে চলেছে এমনই আরও অনেক, অনেক কমবয়সী ছেলেমেয়ের দল। তাদের কত কথা, কত হাসি, কত ভালোবাসাবাসি। অসহ্য। অসহ্য সব। 

একা লাগে। খুব একা লাগে। কেন এত বেশি একা লাগে আমার? ভিড় ছেড়ে চুপচাপ বেরিয়ে আসি। সরে আসি। নির্জনতায়। যেখানে রাস্তার আলো খানিকটা ম্লান। মাইকে একনাগাড়ে বেজে চলা চটুল হিন্দী গানের সুর কিছুটা স্তিমিত। বুড়িয়ে যাওয়া, অন্ধ একটা বেড়াল যেখানে বসে বসে, নীরবতা অভ্যাস করে চলেছে আজন্মকাল। সে আমাকে বলে, শব্দ না করতে। ওই যে একতলা দো'তলা বাড়িগুলো, ওরা কথা বলছে। আমাদের এই শহরে আরও একবার আলোঝলমল,  উৎসবের দিন এসেছে ঠিকই। তবুও অন্ধকার যায় নি কোত্থাও। আমাকে সে বলে, যদি কান পেতে শোনো, শুনতে পাবে তুমিও। বাড়িগুলো কথা বলছে...

অথচ আমি হাজার চেষ্টা করেও শুনতে পাই না সেই কথা। অস্পষ্ট, হলদেটে আলোয় তখন আমার চোখ দু'টো ধাঁধিয়ে যায়। ভিজে আসে। আর আমার সত্যিই কিছু করার থাকে না।

শুধু উৎসবের দিন এলে, আমি আরও বেশি করে রেডিয়োহেডের গান শুনি।

''Appliances have gone berserk
I cannot keep up
Treading on people's toes
Snot-nosed little punk

And I can't face the evening straight
And you can't offer me escape
Houses move and houses speak
If you take me there you will get relief
Believe, believe, believe, believe

And if I'm gonna talk
I just wanna talk
Please don't interrupt
Just sit back and listen

'Cause I can't face the evening straight
And you can't offer me escape
Houses move and houses speak
If you take me there you will get relief
Believe, believe, believe, believe

It's too much
Too bright
Too powerful

Too much
Too bright
Too powerful

Too much
Too bright
Too powerful...''

(4)

Song 4: Street Spirit(Fade Out)

অফিস থেকে ছুটি পাই নি কতদিন। কতরাত আমি স্বপ্নে দেখি নি তোমাকে। এইবার একটা গান গাও তবে। যে কোনও একটা গান । 'ল্যগ যা গ্যলে' অথবা 'এ কী লাবণ্যে'... কিছু একটা অন্তত গাও, লক্ষীটি।

যন্ত্রেরা কথা বলে না কোনও। অথচ প্রত্যেকটা দিন তারা প্যারানয়েড হয়ে উঠছে ভেতরে ভেতরে। যন্ত্রণায়। এই যেমন, আমারই এক স্কুলের বন্ধু নিজের নানাবিধ সাফল্যের গল্প শোনাতে ফোন করতো মাঝরাতে । শুনতে শুনতে আমার ঘুম পেয়ে গেলে, শেষে বলতো, সে নাকি তার সাত অথবা আট নম্বর প্রেমিকার জন্মদিনে উপহার দিয়েছে খুব দামী একটা ব্রা। ওরকম ফোন যাতে আর কোনওদিনও না আসে, এখন সেটা নিশ্চিত করতে পেরেছি আমি।

অথচ না পারাও তো থাকলো কত কী-ই। এবং যারা  পারলো, তাদের জীবনে শুধু লাইক পড়তে থাকলো। 

একশোটা লাইক, আহা! 
দু'শোটা লাইক, ওহো!
তিরিশ মিনিটে তিনশো তিরাশিটা লাইক পাওয়া কি মুখের কথা, বলো?

এসব দেখে হিংসে হল খুব। তারপর সেটা কমেও গেল। মনে রাখতে পারলাম না সবটুকু। মস্তিষ্কের কোষগুলোতে চলতে থাকা সমস্ত চিৎকার এক সময়ে নীরব হয়ে এলো। শেষ অবধি, এক অবাক করা বিস্মরণের পথেই আমি পা বাড়ালাম। প্রতিবার। নিজে ক্রমশ আরও ঝাপসা হয়ে যেতে যেতে, বুঝি স্পষ্ট দেখলাম -

মৃত্যুর থেকে তীব্র আর কোনও প্রেমের গান নেই।

''Rows of houses, all bearing down on me
I can feel their blue hands touching me
All these things into position
All these things we will one day swallow whole

And fade out again and fade out again
This machine will, will not communicate
These thoughts and the strain I am under
Be a world child, form a circle
Before we all go under
And fade out again and fade out again

Cracked eggs, dead birds
Scream as they fight for life
I can feel death, can see its beady eyes
All these things into position
All these things we will one day swallow whole

Fade out again
And
Fade out again

Immerse your soul in love...''

(5)

Song :  No Surprises

হয়ত কোনওখানেই নেই। তবুও আছি ঠিক। অফিস যাচ্ছি । অফিস যাচ্ছি। অফিস যাচ্ছি। 

এবং ফিরে আসছি বাড়িতে।

কমবয়সীদের চুটিয়ে প্রেম করতে দেখছি রাস্তাঘাটে। মাঝবয়সীদের দেখছি অস্বাভাবিক একা হয়ে যেতে। কয়েকজন বৃদ্ধকে দেখছি হাঁটার সময়ে প্রিয়জনের হাত আঁকড়ে ধরতে শিশুর সারল্যে । আর বুড়িয়ে যাওয়া বাচ্চারা ওদিকে মোবাইল ফোনে নীলছবি দেখছে তো দেখছেই...

বিপ্লবীদের দেখছি, ফেসবুকের ডেটাবেসে 'Unique key violation' খেতে বারবার। আর রাষ্ট্রযন্ত্রকে দেখছি প্রতিনিয়ত রূপকথার মিথ্যে গল্প শোনাতে। সেই গল্পটা পুরনো আর একঘেয়ে হয়ে গেলে, মানুষ একজোট হয়ে খুঁজে নিচ্ছে নতুন কোনও গল্প বলার লোক।

অথচ এই সবকিছুর মধ্যে কোত্থাও আমি নেই। তবুও আছি ঠিক। অফিস যাচ্ছি । অফিস যাচ্ছি। অফিস যাচ্ছি। 

এবং ফিরেও আসছি বাড়িতে। প্রতিদিন। প্রতিরাতে।

ফিরে আসছি নীরবতায়।

ক্লান্ত লাগছে, সত্যি বলছি, আমার ক্লান্ত লাগছে খুব। কিন্তু অবাক লাগছে না একটুও...

''A heart that's full up like a landfill
A job that slowly kills you
Bruises that won't heal
You look so tired, unhappy
Bring down the government
They don't, they don't speak for us
I will take a quiet life
A handshake of carbon monoxide

With no alarms and no surprises
No alarms and no surprises
No alarms and no surprises

Silent
Silent

This is my final fit
My final bellyache

With no alarms and no surprises
No alarms and no surprises
No alarms and no surprises, please.

Such a pretty house
And such a pretty garden

No alarms and no surprises
No alarms and no surprises
No alarms and no surprises, please.''



(6)

Song: Jigsaw Falling Into Place

হাতে হাত রেখে হেঁটে যাওয়ার মতো রাস্তা নেই কোনও। শুধু কিছুদিন অন্তর ফোন নম্বরগুলো বদলে যায় । প্রিয় গানের সুরটাও একদিন কী বীভৎস লাগে শুনতে! তুমি ফিরে এসো, তার আগেই। দেখবে, চেনা দেওয়ালগুলো ভাঙছে। এবং গড়ে উঠছে অচেনা, নতুন কিছু দেওয়াল। এইসব রাত্তিরেই বেড়াল কাঁদে পাড়ায়। অথবা হাসে। প্রগাঢ় পিতামহী প্যাঁচাটি বলে ওঠে, "চমৎকার!" তারপর ইঁদুরের মৃত্যু নেমে আসে তোমার অবসন্ন ঘুমের ভিতরে।

ওই যে মেয়েটি অন্য এক পুরুষের আশ্রয়, বিনোদন অথবা পরিত্যক্ত খেলনা হতে চায়, সে তোমার প্রেমিকা নয়। কোনওদিন ছিল না। অথচ তোমার মনে হত, সে খুঁজবে তোমাকে। যখন তুমি আর কোত্থাও নেই, তার অন্তত মনে পড়বে তোমার কথা। তুমি নিজের সেই মনে হওয়াটাকে ছড়িয়ে দিয়েছ সমস্ত পৃথিবীতে। ছড়িয়ে দিয়েছ, মিথ্যে যত আত্মক্ষয়ী ভাবনা আর শব্দের কোলাহল। 

আজ বরং চিৎকার করে ওঠো নিজেরই ওপরে। 
জানিয়ে দাও, ভুল ছিল কতখানি।  যে দুঃখ তোমাকে জড়িয়ে থেকেছে আজন্মকাল, তাকে পেরিয়ে যাও এইবার। সে ফিরে দেখুক তোমাকে, তুমিও ফিরে তাকাও তার দিকে। একবার নয়। দু'বার নয়। অজস্রবার...

দু'চোখ মেলে দ্যাখো, যেখানে যা থাকার কথা ছিল, ঠিক সেইখানেই রয়েছে তা। এর বেশি আর কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই এই নশ্বর বেঁচে থাকায়।

''Just as you take my hand
Just as you write my number down
Just as the drinks arrive
Just as they play your favourite song
As your bad day disappears
No longer wound up like a spring
Before you have had too much
Come back in focus again

The walls are bending shape
You got a Cheshire cat grin
All blurring into one
This place is on a mission
Before the night owl
Before the animal noises
Closed circuit cameras
Before you comatose

Before you run away from me
Before you're lost between the notes
The beat goes round and round
The beat goes round and round
I never really got there
I just pretended that I had
Words are blunt instruments
Words are sawn off shotguns

Come on and let it out
Come on and let it out
Come on and let it out
Come on and let it out

Before you run away from me
Before you're lost between the notes
Just as you take the mic
Just as you dance, dance, dance

A jigsaw falling into place
So there is nothing to explain
You eye each other as you pass
She looks back and you look back
Not just once
Not just twice

Wish away your nightmare
Wish away the nightmare

You got the light you can feel it on your back
You got the light you can feel it on your back

Your Jigsaw falling into place...''

(7)

Song : Exit Music (For a film)

ঘুম থেকে উঠতে আজকেও অনেক বেশি বেলা হয়েছিল। হবেই, কারণ কাল রাতে একফোঁটাও ঘুম হয় নি আমার। তার আগের রাতেও না। তার আগের রাতেও, আমি তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। যেদিকে আর কিচ্ছুটি নেই, শুধুই শূন্যতা আর অন্ধকার ঘিরে আছে বহুজন্মের দগ্ধ স্মৃতিদের, সেইদিকে।

কিন্তু আজ দিনটা খুব অন্যরকম হবে, একথা আমি জানি। আমার কপালে হাত দিয়ে দ্যাখো, জ্বর এসেছে। শীত করছে খুব। বাতাসে মিশে আছে অদ্ভুত একটা শিরশিরানি। অফিসের এসিটা বোধহয় কমিয়ে দিয়েছে ওরা। অথবা প্রাচীন এই শহরের উত্তাপ কমে গেছে হঠাৎ করেই। কী বিচ্ছিরি কালো মেঘগুলো থেকে নেমে আসছে অসময়ের বৃষ্টি...

আমাকে একটা গান শোনাবে, please? সেই গানটা...সরস্বতী পুজোর দিন যে গানটা গেয়েছিলে তুমি...হাসছ কেন? বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথাগুলো? বলো, তুমি যাবে আমার সঙ্গে? তাহলে যা যা নেবার গুছিয়ে নাও তাড়াতাড়ি। কথায় এবং নীরবতায় দেরী হয়ে গেছে কত। দূরে যেতে হবে আমাদের। অনেক দূরে...

অথবা যদি যেতে না-ই পারো, তাতেও আমি মনে করবো না কিছুই। আমাদের প্রত্যেকের পথগুলো তো আসলে একা একা হেঁটে যাবার জন্যই। ওই ছেলেটা কে ঠিক জানি না, যদি ভালোই বেসে থাকো ওকে, তবুও অন্ধের মতো ভরসা করো না। করতে নেই। মনে রেখো, আরও একবার শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস ছেড়ে দেওয়ার থেকে বেশি জরুরি আর কিছু হয় না এই জীবনে। এটুকু মনে রাখতে পারলে দেখবে, যাই ঘটুক না কেন, তুমি শান্তি খুঁজে পাবে ঠিক। 

দমবন্ধ হয়ে আসছে তোমার, দমবন্ধ হয়ে আসছে আমারও। এইবার তবে চোখের জল মুছে ফ্যালো, লক্ষ্মীটি। জানো, আমার খুব প্রিয় একজন কবি লিখেছিলেন,  "চলে যেতে হয় বলে চলে যাচ্ছি, নাহলে তো, আরেকটু থাকতাম..."

ভালো থেকো।

''Wake
From your sleep
The drying of
Your tears
Today
We escape
We escape

Pack
And get dressed
Before your father hears us
Before
All hell
Breaks loose

Breathe
Keep breathing
Don't loose
Your nerve
Breathe
Keep breathing
I can't do this
Alone

Sing
Us a song
A song to keep
Us warm
There's
Such a chill
Such a chill

You can laugh
A spineless laugh
We hope your
Rules and wisdom choke you

Now
We are one
In everlasting peace...''

(8)

Song : How To Disappear Completely

চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ আর রুমালের মা। এই নিয়েই হয় চশমা। সেই কোন ছোটবেলায় শিখিয়েছিলেন সুকুমার রায়। তখন বুঝতে পারি নি। অবাক হয়ে ভেবেছি, বেড়ালের মধ্যে আবার তালব্য শ কোথা থেকে এলো?

কিন্তু এখন বুঝি। যেখানে যার থাকবার কথা নয় একেবারেই, সেখানেই তাকে থেকে যেতে হয় কখনও কখনও। ঠিক যেন 'বেড়ালের তালব্য শ' হয়ে। তখন অনেকটা সেই 'ছুটি' গল্পের ফটিকের মতো দশা হয় তার। 

"সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে, পৃথিবীর কোথাও সে ঠিক খাপ খাইতেছে না; এইজন্য আপনার অস্তিত্ব সম্বন্ধে সর্বদা লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী হইয়া থাকে। "

এই জীবনের অনেকখানি সময়, এমনই একজন মিসফিট হয়ে বেঁচে আছি আমিও। কখনও কোনও দলে মিশে যেতে পারি নি সহজে। প্রিয় বন্ধু যারা ছিল, একে একে হারিয়ে ফেলেছি তাদের প্রায় সবাইকেই। এবং যতবার ভালোবেসেছি, ভিক্ষে করার মতো করে চেয়েও, প্রত্যাখ্যান আর ছলনা ছাড়া আর পাই নি কিছুই।

না, এর জন্য আমি দোষ দিই না কাউকে। এই প্রত্যেকটা না পাওয়া, না পারার দায় হয়ত আমার নিজেরই। তবুও তো রিক্ততা থেকে যায় মনের গহীনে। থেকে যায় এক অদৃশ্য, অকৃত্রিম শূন্যতাবোধ। যা কোনওদিনই পূর্ণ হবার নয়...

বেঁচেই আছি, তবু মনে হয় এ যেন এক প্রেতের জীবন! এই যে আমি, আজ এই মুহূর্তে, এইখানে আছি.. এই ছেলেটা যেন আমি নয়, অন্য কেউ। এই যেটুকু যা বাস্তব, আসলে এসব ঘটছে না কিছুই।

আসলে এখন ইচ্ছে হলেই, যেখানে খুশী চলে যেতে পারি আমি। প্রতিটা দেওয়াল ভেদ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি অনায়াসে। হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন নদীটির জলে ভেসে যেতে পারি কোনও এক আশ্চর্য বৈকুন্ঠের দিকে...

আর মাত্র কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। তারপরেই আর আমাকে খুঁজে পাবে না কেউ। অথবা, সেই মুহূর্তরা পেরিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই...

হ্যাঁ, তাই তো!

সব আলো, সব অন্ধকার, সব উল্লাসধ্বনি, 
সব ঝোড়ো বাতাস শেষ হয়েছে এইখানে।

হে মহাপৃথিবী!

আমাকে দ্যাখো, আমি নেই। 
আমি ছিলাম না কখনও...

''That there, that's not me
I go where I please
I walk through walls
I float down the Liffey

I am not here
This isn't happening
I am not here, I am not here

In a little while
I will be gone
The moment's already passed
Yeah, it's gone

I am not here
This isn't happening
I am not here, I am not here

Strobe lights and blown speakers
Fireworks and hurricanes

I am not here
This isn't happening
I am not here, I am not here...''


P.S. / শেষ হয়েও, হইল না শেষ...

(1)

"Cheap sex and sad films, 
Help me get where I belong…"

রেডিয়োহেড গাইছে। 'মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র‍্যাক'। শুনে আশ্চর্য হয়ে যাই। কিন্তু বুঝতে পারি না। সস্তার যৌনতা আর দুঃখের ছবি!
যৌনতা বলতেই মনে পড়ে, ভ্যানিলা স্কাইয়ের সোফিয়াকে। বুকের তিলটাকে দেখিয়ে ডেভিড বলেছিল, জন্মে জন্মে ফিরে আসবো এইখানে। অথচ সোফিয়া আসলে ছিল না কোত্থাও। সেই থেকে শব্দটা ভালো লেগে গিয়েছিল বেশ - 'ল্যুসিড ড্রীম'। নিবিড়তম স্বপ্নের ভেতরেও কে যেন কানে কানে বলে দিচ্ছে, যা ঘটছে আসলে এসব সত্যি নয় কিছুই। 
আবার দুঃখের ছবি বলতে মনে পড়ে পথের পাঁচালীর ইন্দির ঠাকরুন। হরি দিন তো গেল, সন্ধে হল, পার করো আমারে। এই জন্মের রেলগাড়িরা চলে যাচ্ছে, কাশবন পেরিয়ে... 
অথবা মনে পড়ে মাসান। বেনারসের ঘাট। বশীর বদ্রর শায়েরি। শালু গুপ্তা পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও, ওর আংটিটা পুড়ছে না। 'সালা ইয়ে দুখ কাহে খ্যতম ন্যহী হোতা বে?' 
কত কথাই তো বলার থাকে আমাদের, বলা আর হয় না। রেডিয়োহেড তবুও গাইতে থাকে। সারাটা রাত জেগে থাকার পরে, আরও একবার ভোর হয়ে আসে। মনে হয় এই জীবনের যা কিছু অকিঞ্চিৎকর, যা কিছু গ্লানিময়, যা কিছু মলিন, তারাই যেন আমাদের ঠিক পৌঁছে দেবে একদিন। কাশবন পেরিয়ে, এই জন্মের রেলগাড়িরা যেখানে যায়, সেইখানে...


(2)

"Karma police,
I have given all I can.
It's not enough..."

রেডিয়োহেডের গান আমাকে বাঁচিয়ে তুলেছে। একবার নয়। দু'বার নয়। অনেক, অনেকবার। আসলে জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই একজন আন্ডার অ্যাচিভার হয়ে থেকে গেছি আমি। ন'টা প্রশ্নের পরপর সঠিক উত্তর দিয়েও, দশ নম্বর প্রশ্নে ভুল করে বেমালুম বাদ পড়ে গেছি কত কত ক্যুইজ কনটেস্ট থেকে। 'ভালো অঙ্ক কষতে পারি' - এহেন সুনামের বারোটা বাজিয়ে অত্যন্ত সহজ পাটিগণিত মেলাতে পারি নি পরীক্ষার হলে। পরে হয়ত বাড়ি ফিরে দেখেছি প্রশ্নটাই আমি ভুল পড়েছিলাম। ভালো হতেই পারত কিন্তু হয় নি - এরকম ঘটনার বোঝায় ভারী হয়ে এসেছে স্মৃতি। এবং প্রত্যেকটা প্রত্যাখ্যান, প্রতিটি নীরবতার আড়াল থেকে মুখ বাড়িয়ে কে যেন চিৎকার করে বলে উঠেছে  - 'You are not enough.'

সেই অপমান কান পেতে শুনেছি আমি। এবং গান শুনেছি সারাটারাত জেগে। কোনও বাচ্চা ছেলেকে যেমন করে লোরি গেয়ে শোনানো হয়, তেমন করে টম ইয়র্ক গেয়েছেন - 

"For a minute there,
I lost myself, I lost myself..."

শুনতে শুনতে শান্ত হয়ে গেছি অনেকটা। মনে হয়েছে, আরেহ্, একটা মুহূর্ত বৈ তো কিছু নয়! এর জন্য এত কীসের দুর্ভাবনা আমার? অতএব পেরিয়ে গেছি সেই মুহূর্তদের। চলে গেছি আগামী কোনও মুহূর্তের কাছে। হয়ত পরবর্তী প্রত্যাখ্যান এবং পরের নীরবতার কাছেও।

এবং আশ্রয় খুঁজেছি, রেডিয়োহেডেরই অন্য কোনও গানে।

0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন