Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

কিংক্‌ ।।  হিয়া  মুখোপাধ্যায়

26/8/2018

0 Comments

 
Picture
*
অথৈ ঠাকুর আসেন।
ফুসমন্তর রাগ আনেন।
বেগুনী ও বিষন্ন রোদে
হৈ হৈ নাভি দেন।
আর আমি এঁটোকাঁটা মেখে
প্রলেপ সাজাই,
যত মখমল ভূষণ সাজাই।
কড়ে আঙুলের মত প্রেম বুকে নিয়ে
ঘনভাবে মরে যেতে যেতে,
বৃথাভাবে মরে যেতে যেতে
অনন্যা বাগান সাজাই।
*
ঠাকুর ঠাকুর,
এসো পিচ্ছিল উপগ্রহে এসো।
এখানে বিভা নেই,
জারিজুরি নেই।
শুধু ডুবছাল একটু নিভন্ত হলেই
পাখী পাখী স্তব ওঠে।
প্লাবন প্লাবন স্তব ওঠে।
আর এই দ্যাখো
কিরম অনায়াসে,
দেয়ালা উপুড় করলাম এই
ঠিক তোমার চিমনির মুখে।
*
হাপুস নিয়েছি মাগো
জঙ্ঘায় হাপুস নিয়েছি।
ঠাকুরের অন্ন আমি
সর্বাঙ্গে নিয়েছি,
ফেলে ও ছড়িয়ে।
ঠাকুরের বৃন্ত আমি,
সর্বাঙ্গে নিয়েছি।
ও অন্নপূর্ণা, ও পূনর্জাতিকা,
ও আমার অভিমানী মা,
যে এভাবে নিকটে আসে,
আমি তার করাল কৃষ্ণ দাঁতে চেপে
সরাসরি সরাসরি,
পুরোপুরি মরে যেতে চাই।
*
ঠাকুরের নখর কী লাল!
ঠাকুরের পুরুষ কী লাল!
সে কি এক সেলাই প্রবাহে
আমি রঙ চিনতে পারি নি।
শুধু বিন্দু শুধু বিন্দু খুঁজি,
উত্তেজক, তড়িৎচুম্বকীয়...
ঠাকুরের রাগ ওঠে।
ঠাকুরের মৃদঙ্গ ওঠে।
আমিও নেশার ঘোরে,
ছাল ও বাকল খুলে রাখি,
নিরীহ বিনুনী য্যানো,
ঠাকুরের ঠাঁ ঠাঁ করতলে।
*
ছিলিমে বসন গ্যালো,
উপবীত ও গ্যালো।
ছিলিমে গার্গী গ্যালো,
গার্হস্থগুণ....তাও গ্যালো।
এলোকেশ আশাবরী শুধু
রিনরিন ভেসে ভেসে এলো।
কুয়োপার অকালে ঘনালে
ভেসে এলো দেবযানী,
ঢলানি ও কামার্ত দ্রোহে।
আর ভেসে এলেন ঠাকুর,
শ্বদন্ত উন্মোচিত করে....
*
ওগো দ্রাঘিমা চলন,
ওগো কুসুম কুসুম দ্বিচারী,
দেরাজ নেভাও ওগো তোমরা,
শান্ত হয়ে তোমাদের
দেরাজ নেভাও।
এই দ্যাখো  সীমন্ত বিছিয়েছি,
অনন্ত বকুল বিছিয়েছি...
শুধু ওই তোমাদের মৌতাত ঠাকুর
এলোপাথাড়ি ক্ষোভে,
ঠুনঠুন করতে করতে,
দৃপ্ত ভঙ্গীমায়
আমাকে মাড়িয়ে যাবেন বলেই।
*
আরশি খাটো হয়ে যায় ক্রমাগত,
ধূম্র শিষ তুমুল উছলায়
আর কী আশ্চর্য, গোধূলির মত
আরশি খাটো হয়ে যায়।
বন্দিশ লঙ্ঘন করবে কে গো?
এই যে প্রতিনিয়ত নিজেকে দেখছি,
প্রতিচ্ছায়ার চোখে ঠাকুরের জন্য
মার্জনা দেখছি, সবই তো
এই হা হা নাভিতে
উড়াল ভূমিকা আর যথেষ্ট অথৈ ভাব
চেখে নিয়ে
আমার ঠাকুর
অবশেষে সন্তুষ্ট হবেন
অবশেষে সেঁজুতি হবেন,
এক ও একমাত্র সেজন্যই!
*
কথকভূমিকা থেকে সরে আসি৷
ঠাকুরের দিবাস্বপ্নে আমি কোন
নাছোড় উৎপাত হয়ে
লেগে আছি দিকচিহ্নহীন।
ধূমকেতুর মত ধোঁয়া ওঠে।
নিদ্রার অতীত এক মৌসম ওঠে।
হলাহল স্তোক ওঠে।
আর রুগ্ন অপেক্ষায় জেগে থাকি,
কখন প্রলয় রূপ ধরে
ঠাকুর আমায় সংহার করবেন।
কখন ধ্বংস হতে হতে,
ধ্বংস হতে হতে
আমি পুনর্বার আবিষ্কার করবো,
একদিন, নিশ্চিতভাবে
আমিও জীবিত ছিলাম।
*
শৈব বিচরণ এসো।
নিঁখুত মাঞ্জা এসো।
শিহরণ বিস্তার পেলে
দ্রবণ স্বভাব এসো,
যথাযথ প্রস্তুত করো।
ওই যে দূরে শূন্যে ভাসমান
আমার ঠাকুর,
সাবর্ণ শরীর আর শুভ্র বসন,
ওই স্বাতীতে ব্যাপিত
তার নীলবর্ণের উপবাস,
যা তিনি সহাস্যে কর্ষণ করবেন
আমাকে প্রতিটি গ্রাসে
অনুপুঙখ ভাবে খুঁটে নিয়ে।
*
আর আসি চাবুক ক্ষুধায়,
আর আসি তপ্তবাজারে৷
অহমিকা আমূল ভাসাই।
আমূল ভাসাই কলতান।
শুধু এই দীঘল চামড়া,
শুধু এই শিরার কাঁপন,
উবু হয়ে উৎসর্গ করি।
পিঠ দিই, পশ্চাদদেশও।
বেত্রের বাসনায় দিই।
স্বেচ্ছায়, কুটিল প্রয়াসে,
রজকিনী আহ্লাদ দিই।
ঠাকুরের চৈতন ছুঁয়ে
শোণিত সাজিয়ে দিয়ে যাই।
এই দাগ অমর অজর।
এই দাগ ক্ষিতি, অপ, তেজ।
সমর্পণ এমন নিখুঁত,
এমন অন্ত্যেবাসী হলে,
তিনিও যে টলোমলো হন।
সংক্রমণ তুখোড় ছড়ালে,
নতজানু ভূমিকায় হাসি।
ঠাকুরের চিৎকার শুনি।
আর সেই ঊষর আগুনে
ঠাকুরের ঝলসানো লিখি।
আর সেই ফেনিল আগুনে,
তৃপ্তিময়, স্ফীত উল্লাসে
ঠাকুরের মৃত্যুটিকে লিখি।
0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন