Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

জার্নাল  ২০২০ ।।  আদিদেব   মুখোপাধ্যায়

5/12/2020

0 Comments

 
Picture

​
আমার ধারণা, সারাজীবন ধরেই আমি কারও কাছে - কে সে আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু যে কেউই সে হতে পারত - বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে চেয়েছি; আমার ঐকান্তিকতা আমাকে তার থেকে চিরতরে সরিয়ে দিয়েছে কেননা আমি এক বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে গ্রাহ্য হই।

এত যে ঈশ্বরের নাম করি, ভাবি, ঠাট্টা করি ঈশ্বরকে ডেকে; ইতরতা ও দ্বেষ, অনুনয় ও হাৎড়ানি... জিন-অনুক্রমের অভ্যাস ভেবে একে  মেনে নিয়েছি। ‘হে প্রভু, কেন এরকম’... কিংবা ‘আহ স্রষ্টা! তুমি নিজেকেই বানাতে ভুলে গেলে’; পাথুরে নিরুত্তরতা আমার বহুদিন সয়ে গেছে – কারই বা সয়ে যায়নি!  

যত দিন গেছে (কতগুলো দিন! অথচ ভাবলে একটা আলোর চমক ছাড়া কিছু নয়) আমি চেয়েছি এই পৃথিবীতে স্বাভাবিক বাসিন্দা হয়ে উঠব, অন্তত আমার বিশ্বাস গড়ে উঠবে নুড়ি, বৃক্ষ, পাখি, আকাশ ও জনপদগুলির উপরে... অলীক প্রচ্ছায়া মনে হবে না! 

আমি আজ বাস্তবের একটি চিহ্নকেও - দৃশ্য কিংবা বস্তু-পরমাণু; যদি অন্ধ হয়ে যেতাম তাহলে স্পর্শের ঘনত্ব, শব্দের স্থাপত্য ও স্থাণু সময় – এদের কিছুই গ্রহণ করি না। আমার মনে এই সন্দেহ ফুলকি হয়ে জীবনময় উড়েছে এবং সমস্ত আস্তিক্যে আমার দাউদাউ আগুন ধরে গেছে! 

– বৈজ্ঞানিক সজ্জাকে বিশ্বাস করব? তাও কি গ্রাহ্য হবে? আমাদের ভৌত নিয়মগুলি -  মাধ্যাকর্ষণ, আলো ও বর্ণবিজ্ঞান, বায়ুমণ্ডল ও অদৃশ্য তরঙ্গসমূহ, তাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়া, স্থান ও সময়ের সর্বময় নিত্যতা... এদের বিশ্বাস ক’রে ফিরে আসা যেত; হয়তো যেত! কিন্তু এরা এত নিরপেক্ষ, অসংবেদনশীল... সন্ধানী আলো ক্রমাগত স্বপ্নের অন্ধকারে ঘুরে যায়!  

চেনা লোকগুলি... তারা নিজ নিজ অসুখ আমাকে উপহার হিসেবে, ভাগের অংশ হিসেবে দিয়ে যায়; জীবন আমার এই রিক্ততাতেই ভরে উঠেছে। শূন্য বোতলের স্রেফ ‘থাকা’, এটি-ই আমায় ডুবিয়ে দেয় নতুন অসুখে, প্রতারণায়, ঘুমে... এমন কী জানব যা আমি আগেই জানিনি, কী বলব যা এতদিনে বলা হয়নি? কী খুঁজেছি যা আমাকে কখনোই দত্ত নয়, সৃষ্টির চাবি আমারই মধ্যে ডুবে যায়, হাতড়ানির হাত ঢুকিয়ে দিয়েছি আর অনচ্ছতা আমায় ঠিকরে দিয়েছে... লেলিহান আগুন গুহার দেওয়ালে যখন এক কম্পমান, নাটকীয় ছায়া। 
 
সূচীমুখ প্রশ্নচিহ্নের খরখরে রাজ্যে ঢুকে আসি ও সেই অনিঃশেষে পৌঁছাই যেখান থেকে নক্ষত্রমালা আবার জেগে উঠবে। 

এই দানবিক ব্যবস্থা – না’হয় বিশ্বব্যবস্থাই বলি- তার দায় আমারই উপর অর্পিত হয়েছে অথচ আমি এর জন্য কোনোভাবে দায়ী ছিলাম না। 

কুযুক্তি, ভ্রম... সুন্দরতা, তাকে কি শেষবার আপন ক’রে নেব?  

উত্তর পাই না আর উত্তর পাই না আর উত্তর... সেই গান গুনগুন করি যা পতঙ্গের ডানায় ডানায় বাজে, বাজে গমগমে সুরের মতো, মন্ত্রের মতো, খিস্তির মতো... অবসেসিভ কম্পালশনের মতো সেই ‘চলা’ – আমার সর্বস্বে তা ঝনঝন ক’রে উঠল! 

একটি শ্বাসকর্ম কিংবা বাতকর্ম আমারই নিজস্ব; বেদনা ও উল্লাস তাদের ছুঁচগুলিও আমাতেই ফোটায়, ঢিল ছুঁড়ে দিলে পুকুরের ঢেউগুলি যেমন ছড়িয়ে পড়ে ও থিরথির কাঁপতে থাকে। 

...এ আর কিছুই না স্রেফ এক অবিরাম ল্যাবিরিন্থ যা মিথ্যুক মাকড়শাটি বিছিয়ে দিয়েছে, তারই মধ্যে নিজেকে ছড়িয়ে জানি-না কীসের অপেক্ষা করছে। কিংবা... এটা এরকম নাও হতে পারে।


​
0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন