Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

চারেক্কে   চার   ।।   শুভদীপ   মৈত্র

29/11/2020

0 Comments

 
Picture



১. পুনর্জন্ম

ঠোঁট দুটো বলছিল, কি করছো, কি করছো। তখন ঠোটের উপর চোখ। আঙুল, দাঁত, জিভ সবই ঠোঁটের উপর আর বাইরে নদী বয়ে যাচ্ছিল, একটু কম পাগলপারা। ঠোঁট জানে আমাদের বয়স গিয়েছে বেড়ে আরো কুড়ি কুড়ি বছরের পার। তার শাদা চুল চিরুনিতে জড়িয়ে থাকে, আর আমার দাড়িতে বরফকুচি জমেছে। আস্বাদ নিতে গিয়ে সুধা, ঠোঁটের মালকিন, আর সেই সুধায় আমি, পুনর্জন্ম, মিশে গেছি। জ্ঞাত থাক, বাইরে একতলায় তখন উভয়ের আইনসম্মত সত্ত্বাধিকারী বর্তমান, একজন ভুঁড়ি সামলে বাচ্চাদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন আরেকজন শাড়ির আঁচল গুঁজে রান্নার তদারকিতে – সামাজিক। সাদামাটা মোচ্ছবের মধ্যে একটা গাঢ় রঙ খেলে গেল হঠাৎ। অন্ধকারে আমাদের ব্যাকানাল। লুব্ধক মাথার উপর, সেই সঙ্গে দুঃসাহসী বাইকেরা শব্দময়,  অস্ফুট ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল মোটের উপর ফাঁকা রাস্তায়, আর ঠোঁটের, নাকের নিচে লালচে দাগ দৃশ্যমান – এই সম্বিত আশঙ্কা ও রোমাঞ্চ জাগাল এক নিষিদ্ধতার। কোনো এক প্রার্থনালয় গুঁড়িয়ে যাওয়ার ইতিহাসের থেকেও আরো বেশি জলজ্যান্ত হয়ে উঠলাম আমরা – ওই চারটে ঠোঁট ও মাত্র একটা পুনর্জন্ম। 



২. বাজি

দরজারা নিজেকে মেলে দিলে পা-গুলো ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে, একসঙ্গে অতগুলো যে কোনটা কার শুরুতে বোঝা যায় না, যতক্ষণ না আলাদা হয়ে আগু পিছু তৈরি হচ্ছে। তবুও ওই প্রথম দরজা খোলার অনুভূতিটা বুকের মধ্যে ধ্বক করে ওঠা। বাজি ধরেছে যতটা না ঘোড়ার উপর তার চেয়েও বেশি তো নিজের উপর, যেহেতু এ এক ফাটকা বিশেষ। অনেক হিসেব নিকেশ সে করেছে, আসলে এই হিসেবগুলো নিজের সঙ্গে নিজের মনে ঘটে চলে। 
তবু ওই বাজির মুহূর্ত প্রাণ পায় যখন দরজা খোলে, সবাই লাফিয়ে উঠল, তার চোখ অতগুলো পায়ের দিকে যার থেকে দুটি ছিটকে বেরবে ও প্রথম পৌঁছবে শেষ সীমায়। সবার এক অনুভূতি হবে তাও না, সঙ্গিনী ব্যস্ত ঘোড়া ও জকির সুঠাম সামঞ্জস্যে, তার পোশাকের ভাঁজ ও সামাজিক আলাপে, তার বন্ধু বিয়ার ও ব্যবসার নানা সংযোগ-ধান্ধায়। বুকিরা ঘেমে ওঠে না কখনওই। তবু  সে এই যে বাজির হঠকারিতায় নেমেছে, তা এক খেলা। 
এভাবে কখনো সেও নেমেছিল বেঁচে থাকার পিঠে সওয়ার হয়ে। প্রথম ও শেষ দৌড়ের মাঝে রয়েছে। ফলে সে জানে বাজি ধরাটা তখনই সম্ভব যখন সে ফেন্সের বাইরে, গ্যালারিতে বসে। একই সঙ্গে সে কখনও সওয়ার, সওয়ারি ও দর্শক হতে পারবে না। 
এতগুলো ভাবনা যে ভাবছিল, ওই যে বুড়ো মতো লোকটা, একটু আলগা হয়ে বসে সবার থেকে, সে কিন্তু আসলে বাজি রাখছিল তার উপরে। রেসকোর্সে এই বুড়োটা আসে প্রায় ঝাপসা ছানি পড়া চোখে তাকে দেখতে, বা তাদের সবাইকে। কারণ বুড়োটার বাজি ধরার টাকা নেই তবু সে জানে রেস কোর্সের সবচেয়ে উত্তেজক সওয়ার এই দর্শকরাই। 



৩. উপন্যাসের শুরু

  রোহিণী প্রায় ডুবন্ত অবস্থা থেকে বাথ টব ছেড়ে উঠেছিল যখন, তখনই লাল তাকে দেখে। বেয়াল্লিশ বছরের ভরাট শরীরের রোহিণীকে সে কেন কীভাবে ওই অবস্থায় পেয়েছিল, নেহাত পনেরো ষোলোর তরুণ এক ছেলে তা অপ্রকাশ্য থাক, বা একটা মিথ। ভিজে চোখে যে দরজার পাল্লা খোলা হাত ও মুখ রোহিণী দেখে ও ঠোঁট ঈষৎ পাউট, শরীর ঝুঁকে পড়ে সামনে এবং বুঝতে পেরেই মৃতবৎ আধো উচ্চারণ গলাতেই আটকে থাকে এবং হাতের ঝটিকায় আঙুলগুলোর মাঝে তোয়ালের শরীর থাকলেও তা স্থাণু ও থরথর – লাল দেখেছিল, কিন্তু সে ট্রিগার টিপতে জানত না। 
রোহিণী অপেক্ষা করছিল বঙ্কিমের জন্য, আমলার মতো যে জানে তার শাসিত অঞ্চলের সীমারেখা। ফলে অনবরত বঙ্কিম খেলাটা বদলাতে থাকে মনে মনে, কখনও ট্রিগার সে লালের হাতে তুলে দেয় বা কখনো রোহিণীর সিক্ত শরীর। অথচ কখনোই সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তার ক্ষমতার গণ্ডী কতটুকু। এর মধ্যে লাল বড় হয়, রোহিণী আরো বয়স্ক হতে থাকে। সময়ের নিয়ম খাটে সবারই উপরে। কিন্তু বঙ্কিমের কল্পনার ভিতর এখনো সেই পর্দাটানা দুপুর এখনো লাল আর রোহিণী, কেউ একটা খুন হয়ে চলে প্রতিটা সফল বা ব্যর্থ সঙ্গম শেষে। 
 

​
৪. অরণ্যের দিন ও রাত

ট্রি-টপ হাউজ বা অবজারভেটরি যাই বলা হক না কেন পর্যবেক্ষণ বড় দ্রুত বদলে যায় অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গে – নিচ থেকে যাকে একরকম দেখায় সেই আবার উপর থেকে আরেকরকম, এই অরণ্যের দিন রাত আর তার সঙ্গে উপস্থিত যুবকেরা তাইই। যেমন এই যে মেয়েটি – সরু হিলহিলে কোমর আর ফ্লোরাল শার্ট-এর উপর দিয়ে সামান্য ক্লিভেজে বুফোঁ ভেঙে পড়ে বেশ কিছু চুল চিরকালের ককেট্রিতে আটকে – তাকে সেই যুবকেরা কখনওই উপর থেকে দেখছে না। একই শরীরী বিভঙ্গ পালটে গেল গায়ের রঙের সঙ্গে, তখন সেই অপর দেশীয় শরীর অনায়াসে ল্যাংটো খেলোয়াড়ি শরীরের নিচে ছটফট কিন্তু শিৎকারশীলা নয় কারণ তখনই বাকি তিন নায়কের যে কেউ দেখে ঠাট্টা বিরক্তি মজা এমনকি একসঙ্গে ভোগের ইচ্ছেও জানাতে পারত।  
বেঁটে বেঁটে পাহাড় ঘেরা অ্যারেনায় যুগপৎ পিকনিক ও সার্কাসের মতো মুখভঙ্গি চালাচ্ছিল নায়কেরা ও নায়িকা, যদি এভাবেই দেখি যে নির্বাক সিনেমা, যদিও প্রেক্ষাপট স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন-এর চিপ প্রিন্ট। লকেট ও আঙুলের সঞ্চারণ বুঝছিল, না মাপছিল, এবং তার আদিম ও আরো আন্ধারিয়া বোনের মতোই ঘামছিল – ডান চোখ সুচারু চুলের দিকে যাচ্ছিল, বাম বুকটা সঙ্গে তার তীক্ষ্ণ বোঁটা জেগে উঠেছিল খেলোয়াড়ি পেশীর সীমানায়, একটা হাসি আর গালের টোল ন্যাকাবোকা সাজা এভরি প্যাক নিডস জোকার যে জনান্তিকে বলে – তখনও প্রার্থনা সংগীতের শুভ্রতা শেষ হয়নি, সেইটুকু সময়ে নির্বাচন করে নিতে হল নায়িকাকে। বেচারি, সবচেয়ে প্রিডেসটিন্ড কারণ ওই যে পর্যবেক্ষণের নিয়মটা সেও মানে, কাজেই সুচারু চুল ও কলচর্ডের সঙ্গেই দেখা যায় তাকে, যদিও তার ভিতরে ততক্ষণে মিশে গেছে আরো তিন পুরুষের প্রতি সমান আনুগত্য যা বারবার তার যৌন-কল্পনায় ফিরে আসবে। বারবার। আর তার আদিম বোনটির কী হল? ধ্যুস তার কথা অ্যানথ্রপোলজির রিসার্চ পেপারে লেখা যায়, গল্পে ওসব লেখে নাকি!  

 
0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন