Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

লাল   ইনতিফাদা  ।।  সাম্যব্রত   জোয়ারদার

3/4/2019

1 Comment

 
Picture
​এমন নয় মেঘস্তম্ভ স্থির হয়ে আছে। নিসর্গ দুলছে। 
জীবনানন্দের কবিতায় কামানের মুখে বসে আছে পাখি। থমথমে বিস্ফোরণ। ফেটে পড়ার অপেক্ষা করছে...

এ এক বিপন্নতা। যখন শাটার বন্ধ। গোল্লাছুট কাঁটাতারের ইস্কুল। বেগুনাহ্ ক্লাসরুম থ্যাঁতলানো টিউলিপ ফুল। যখন ভিরান সড়কের ভিতর হলুদ ডুমের ফাংগাস। চিনারের পাতা ঘুরে ঘুরে স্মৃতি ফলকের ঘাস। কুড়িয়ে রাখলাম জুন মাসে।
এ এক বিপন্নতা। যখন ঝিলম শুধু ঝিলমের মতো বহতমান। কারা নিখোঁজ হয়েছে, কত নিখোঁজ হয়েছে, কোহরার দিকে
হারিয়ে গিয়েছে কবেকার নিরুদ্দেশের কশতি

হুজুর খুলে আম আঁচল লহরাকে মৃতদেহ চাপা দিচ্ছে
ছররা বন্দুকের ধ্বনি অক্ষরবৃত্ত ছিঁড়ে ঢুকে যাচ্ছে চোখে— 

অ ন্ধ কা র অ ন্ধ কা র আ র ও অ ন্ধ কা র

অধ্যয়ন করি অস্ত্র হত্যাগাথা শিকারকাহিনি
পাথর নিক্ষেপ শিখি অন্ধকার দু’ভাগ হয়ে যায়,
সেই থেকে দ্বিখণ্ডিত শূন্যকাল ভেঙে যেতে থাকে
অবিরাম পাথরের দেবতারা কাঁচা রক্ত চাটে।
ঘাসে টানা কালশিটে অন্ধকারে মার্ডারের দাগ
ভোরের সকালে আঠা থমথমে ইস্কুলের মাঠ,
অধ্যয়ন করি অস্ত্র হত্যাগাথা শরীরশিক্ষায়
নিকটের জলাশয়ে হরিণেরা পানি খেতে আসে।

ইস শহর মে আমি কেন তনহা কেন অন্ধেরায়
জড়িয়ে ধরেছে পরিত্যক্ত এরোড্রোম 
চিঠির আখর ছেড়ে রওশন বরখুরদার
কাঁটাতার আগাছায় কার্ফু বসতি হয়ে গেছি,
—বসে বসে এইসব ভাবি আর ইমারত উঁচু হয়ে ওঠে
—এইসব ভাবি বসে বসে আর দন্তকান্তি শোভা চমকায়।

এ এক বিপন্নতা। কর্পোরেশনের পানি ও জল চলে গেলে, এলজিবিটি-র অধিকার। এ এক বিপন্নতা ইদগাহের এই জমায়েতে। দর্দ ও ব্যথার কথা। কর্জ ও ঋণের কথা। এমনকি ফসলের দাম। হুজুর খুলে আম আঁচল লহরাকে মৃতদেহ ধামাচাপা দেয়।

অন্ধকারে চোখ জ্বালা করে 
রওশন সারারাত ধরে।
তালুর উল্টোদিকে বালি
মুছে রাখা চেরাগের কালি। 
রক্তে লিখি ক্ষতের প্রপাত
চেরা বীথি আগুনের খাত।
রাত্রিকথা ভারী হয়ে আসে
গুলি চলে ভোরের আকাশে।
পার্লামেন্ট থেকে দূরে দূরে
ফুলগুলি নিশব্দেই ঝরে।

গুলি চালানোর পর নতুন নতুন
ঢাঁই করে রাখা হাড় চেবানোর হাড়
সেলফির তামাশা হবে নব্য থিয়োরেম— 
ব্যাখ্যা দেবে মহামান্য গুলির আদালত
মাঠে উঁচু ঢিবি থাকলে লাঙল চলে না
মাঠে উঁচু ঢিবি থাকলে উচ্ছেদনাশক--
গুলি চালানোর পর নতুন নতুন
থিয়োরেম চুক্তি হবে মৃগয়াসফরে,
জলাশয়ে হরিণেরা পানি খেতে এলে
ট্রিগারহ্যাপি মৃতদেহে ছররা গুলিতে
পার্লামেন্ট থেকে দূরে ফুলগুলি ঝরে।

ঘায়ে আর গ্যাংগ্রিনে বিদ্যুৎ সড়ক
পানি নেই কামাই পঢ়হাই তথৈবচ,
গ্রামীণ দাতব্য ওং পশুশালা গেটে
পহেলু খানের ভূত ভয় পাওয়া ভূত
পেটভর্তি লিনচিং কৃষিঋণ খায়।
তবু তো তবু তো তবু তো 
ইজরায়েল কেটেছে মাংস সে জানে না পণ্য বয়কটের কথা
অবিরাম চপারের ধ্বনি যেন ধোবিঘাটে পাথরে আছাড়
বেহারা ডুলির কাঁধে ঝাঁকি খায় পরিশ্রমের হংস ফুলে ওঠে
স্বেদের ধারার রক্তে মাছি ওড়ে হরিকোটা ক্ষেপণাস্ত্র ফাটায়...

যদি এই বিপন্নতা গুহাগাত্রে বাইসনের পেশি
যদি এই বিপন্নতা আক্রমণ প্রতি আক্রমণে
অধ্যয়ন করে অস্ত্র হত্যাগাথা শিকারকাহিনি
গুহামানবের ছেলে টিকে থাকতে প্রস্তরের আদিভাষ্য শিখে
দেওয়াল দেওয়াল জুড়ে আক্রোশের বিপন্ন রেখায়
পাথর নিক্ষেপ করি যদি যদি ছুড়ে মারি শয়তানের মুখে...

আসলে কেউ কথা বলছে না সব স্বর জিভকাটা স্বর।
আসলে যা বলছে সব টিভি বলছে ভাত দিচ্ছে টিভি।
আসলে কেউ মিথ্যে নয় সাংবিধানিক রুটমার্চ।
আসলে যা বলছে পাখি কামানের মুখে বসে স্থির।

দুই

ধর মুণ্ড আলাদা আলাদা ফ্রান্সিসের
শুয়ে আছে লিফলেটে হত্যাকাণ্ড লেখা

প্রসাদজোতের মাটি শিশুরক্তমাখা
সোনামতি সিং তাঁর বুকেতে তরাই

জোশীর আমল থেকে রণদীভ জমানা
দলমে মেঘের মন বলেছে এই পথে

লাঙল সর্বস্ব রুজি শ্রমের চাকায়
মূর্তির পোর্ট্রেট ভাঙে শিশু রক্তমাখা

ধর মুণ্ড আলাদা আলাদা শুয়ে থাকে
পার্লামেন্ট থেকে দূরে ফুলগুলি ঝরে

বাহিনীর লিঙ্গ চোখ ছিঁড়ে নিয়ে যায়
বাহিনীও নিয়ে যায় গুপকার রোডে

দাগ ধরে দাগ ধরে রায়ত খতিয়ান কৃষিজমি মহাজনী নৌকায় বাঁধা মোদের ইজ্জত টুডুদল মাটি কাটে টুডুদল বেগার মুনিশ বুইঢ়া বাপজান ভাইসকল হাঁস-মুরগির জীবনযাপন ধানকল তোমাদের নয় পেয়াদা ধরেছে— বলে কিনা ইপ্পা ফুলের সব হাঁড়ি-খুন্তি-পাতিলের হিসেবনিকেশ বস্তুত কুলি কামিনের ভিড়ে ক্যাম্প গড়ার নির্দেশ দিয়েছে জোতদার দিনান্ত নিঙড়ে নোঙরের মুখ চড়ায় আটকে টাকা শোধ করতে করতে অপমানে জ্বলে চাঁদ ভুঁইঞ্যা তোমাকে ঘেন্নাই থুতু করি
জুন মাস জুড়ে যখন মেঘ স্টোভের পলতে জল দিয়ে নিভিয়ে দেওয়ার গন্ধ বিকেলে যদি কিছু মেরামতি করতে হয় অকারণ লেডিজ হস্টেলে কে কার খবর দেবে চিঠি দেবে মারিফতি মন কেমন কেমন রে রেডিও পাভলভ সেন্টার ঘরে ফেরার গান ভুলে গেছে ঘোরানো লোহার সিঁড়ি শূন্যের মধ্যে উঁচু ওই দর্পণ বিকেল বাতাসে নাগরিক বেলুনওয়ালার যন্ত্রণা মিশে গুঁড়ো গুঁড়ো নেশাবীজ জলের ভাঁজ করা রাংতারা...

দেজাভুর মতো ফ্রেম পশ্চিম জানালা
ক্রেনের আংটায় গাঁথা সূর্য গোধুলির
দেজাভুর মতো ঘর এক্সজস্ট ফ্যান
ব্লেডের ঘুর্ণন ছিঁড়ে আলো ভাঙচুর
মার্চ মাস ফিরে যায় অসহ্য এপ্রিল
অরবিট সমস্ত ঘোরে জুন ও জুলাই
আষাঢ় শ্রাবণী মেঘ বিগত জন্মের
দেজাভুর মতো ফ্রেম সিপিয়া টোনের
স্ক্রিনশট স্ক্রিনশট একের পর এক

এও এক বিপন্নতা হাওরের পানি
রাতে বাড়ে পিলসুজে কেঁপে ওঠে হাওয়া
আরও একজনের মৃত্যু কাদা মাখা মুখ
ঠোঁটের কোণায় রক্ত খয়েরি শালিখ
এও এক বিপন্নতা সমুদ্র তুফান
দমবন্ধ করে রাখে গুঁড়ি মারতে থাকে
মাটির দেওয়াল রাতে হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে গাঙ্গেয় ডিপ্রেশনের...

কোনও এক তুষারের রাতে শেষরাতে আমি লিখি সিলুয়েট মাথায় রুমাল বাঁধা চাঁদের চরকা বুড়ি ফ্লোরাল ফিরানে নত মুখ সেলাই মেশিন টানে সারারাত নক্ষত্র সুতোয় গাঁথা সারসার কবরের ঘুম সারিগান মুখ দেখে চেনা যায় না এমন টর্চার টর্চ জ্বেলে লিখে রাখি মাটি মাখা সেই মুখ ভেঙেচুরে উঠে বসলে মুখ দেখে বোঝা যায় না কীভাবে খরচা হাড়গোড় পাঁজরের ঢিবি কোনও এক গ্রহণের রাতে আমি হাঁটি ধ্বংসস্তূপের খাঁখাঁ বাড়ি শবাধার কী নামের হাওয়া ব্লাডি হেল বয়েছিল সারারাত মনে করি মনে করতে থাকি

তবুও সে ভোররাতে দেখেছিল ভূত
তাঁতের মাকুর টান একতারের সুতো।
ভ্যাজাইনায় ছ’টা গুলি ব্রেস্টে আরও চার
মৃতদেহ শুঁকেছিল টিভির প্রচার।
তবুও সে দেখেছিল ভোররাতের ভূত
টেবিল চুক্তির লাশ স্তূপাকৃত রাখা
বাঙ্কার ও চেকপোস্ট নাড়িভুঁড়িনাড়ি 
দলাপাকানো নল্লি খুন কাঁটাতার মাখা।
এক একটা দেশের ম্যাপ স্তনবৃন্ত ছিঁড়ে
জরায়ুর ক্ষত চিরে সশস্ত্রবাহিনী
এখানে শোকমিছিলের অনুমতি নেই
হাঁ-মুখ কামান খোলা কালাকানুন আছে।
তবুও সে দেখেছিল ভোররাতের ভূত
এমার্জেন্সির অন্ধকার জরুরিবিভাগে
টিয়ারগ্যাসের জ্বালা গোঙানিস্তানের
এক একটা বুলেটক্ষত ইলমের স্তনে
বৃন্ত ছিঁড়ে ফুটেছিল সম্ভ্রমের জবা
হ্যাঁ, এই লেখার পর টর্চার চেম্বারে
বিদ্যুতের শক প্রুফ লেখার পাতারা
কামানের মুখে স্থির পাখির নির্ভার।

এমন নয় মেঘস্তম্ভ স্থির হয়ে আছে। নিসর্গ দুলছে। 

তিন
আসলে কেউ কথা বলছে না সব স্বর জিভকাটা স্বর
আসলে যা বলছে সব টিভি বলছে ভাত দিচ্ছে টিভি
আসলে কেউ মিথ্যে নয় সাংবিধানিক রুটমার্চ
আসলে যা বলছে পাখি কামানের মুখে বসে স্থির।

মাথা দুলছে সারাদিন বকধর্ম যথা জ্বি জ্বি জ্বি জ্বি আজ্ঞে আজ্ঞে হ্যাঁ হুজুর জো হুজুরের মাথা নড়ছে তাই ধামা ধরছি মায়াস্বর ভেন্ট্রিলোকুইজম খুলিঘর হাঁ করছে হরর চ্যানেল বলছে প্রোপাগান্ডা সব চাতুরির বুলি কুর্সি সিপাহি প্যারেড প্রশ্ন সব ঠিক করা পেইড হ্যাশট্যাগ চালকলার পিন্ড খাচ্ছে তংখাপ্রাণসখা প্রতিষ্ঠান হাগাচ্ছে মোতাচ্ছে রাধে গলায় লাগাচ্ছে ধান্দামালা দালাল বাজারে বিক্রি সারি সারি চোখবন্ধ মুণ্ডগুলি ব্রেনের ভিতরে চাঁদ ফিউজ উড়ে গেছে মগজে মগজে হল্ট ফায়ার কারফিউ...

আষাঢ়স্য খিদের দিবসে মেঘ ধুয়ে সন্ধ্যাকাশ নীলাভ গভীর হেই জাগো হে সিলিন্ডার ভরতুকির চুল্লিঘ্রাণ তন্দুরের রুটিগন্ধ চারণের দেশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভ্যানো উলটে পড়ে আছে বেগুনপোড়ার চাষি পরিবার হুকিং ধরেছে ছররার গুলিতে অন্ধ ব্রেইলের সূচসুতোয় লিখছে দুমকার ঘোড়া হল অসলি ট্রিগার...

চার
চামচাগিরি বাতোলেবাজি অন্ধ আদালত
রাত ন’টার ভোঁও বাজছে ভোঁও ভোঁও ভউউউ
ভয়ের ফ্যাক্টরি চাকা নাট বোল্ট ট্রোলের সভ্যতা
পুশ করছে ফাঁক করছে ছাপাখানা ছাপছে গরিবরথ
ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত পড়ছে ক্ষতস্থানে যন্তরমন্তর ভানুমতীর খেল
যত বড় রাজধানী সাঁই ভজনার তত উঁচু কুতুবমিনার

দেশ বাহিনীর গুলি খেয়ে
দেশ মুর্দা হাঘরের লাশ
দেশ ভাবে তিনিই রাজধানী
দেশ মনস্যানটোর চাষ
দেশ অটো মোবাইল লবি
দেশ গানস্যালুট বধির
দেশ ফরজি চার্জশিটের
দেশভক্তি ফ্রিজের মাংসে
দেশ কোট-টাই পরা অ্যাঙ্কর 
দেশপ্রেম ব্যালেন্সের খেলা
দেশ কালা চশমা পরে আছে
দেশ বহুদূরের কোনও দেশ

মূক ও বধির ইস্কুলের নিস্তব্ধতা ভেঙে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার সিগন্যাল দিচ্ছে হাসপাতালের ঘরে ভিজিটিং আওয়ারের পোকা সিলিং ফ্যানের শব্দমাখা অবসাদ এখন বৈশাখে রিবেটের হাড় শুধু শুকনো খড়খড়ে মাই টানছে জনসন বেবি পাওডারের সুগন্ধ মাঝরাতে বুলেটের হর্ন বাজিয়ে ভোট-ব্যবস্থার ছানাকাটা দুধ ও কাঁটাচামচ ছিঁড়ে নিচ্ছে বিরোধীর আঁখ

স্ক্রোল-আপের জঙ্গলে ওই নাগরিক ফেরিওলার দীর্ঘশ্বাস ঝাঁকামুটে অ্যাপ্লিকেশন মাতৃভাণ্ডার কাপডিশ ঘুগনির ডেগচি ধোয়া বিকেলের থাপ্পড় মৃতদেহ সংরক্ষণের দলিত ও ট্রাইবাল বিল খিদে পেটে পাথর আঁচড়ানোর কষ্ট কৃষকের ফাঁসিরদিবসে বিটকয়েনের অন্তর্জাল ট্রান্সফার ইমোজি চুমুর

ও সব বহানা ছাড়ো দোস্ত এই সিন্ডিকেট ধ্বজার তুমিও এক ক্রীতদাস ক্যাপিটাল মেশিনপ্রকল্প লিখো না লিখো না তাই কীটনাশকের এপিটাফ খোঁজ নাও কারা ঘরে এখনও ফেরেনি এত রাতে পুলিশ স্টেশনে কারা বসে আছে নিখোঁজের তালিকায় সত্তরের ন্যুব্জ কাঠ লকড়ির শরীর

ছাড়ো দোস্ত ও’সব বহানা পান্নাপুরি গ্রামের পড়োশি দরজা ভেঙে টানছে বাসি মৃতদেহ ইঁদুর খাচ্ছিল মাংস রাজবালার শিরাওঠা স্তন রাজবালা খেয়েছিল ছয় সন্তানের বিষমাখা অভুক্তের থালা যারে যারে উড়ে যারে পাখি শেষ হয়ে এল অবেলায় ফেনাকাটা থুতনির জীবন


পাঁচ

এসওএস এসওএস ড্রপ গভীর সমুদ্র ঝড় খওফ তুফানের 
অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার পেট্রিল ওষুধের সারারাত 
ইনসারজেন্সি কাউন্টার ইনসারজেন্সির সিরিয়াল 
মেঘস্তম্ভ স্থির টানা বৃষ্টি হলে এ’বছর ফসল ঘনাবে
এ’বছর শিশু খাবে তাই অক্সিজেনের উৎপাদন গলিতে গলিতে 
রামরাজ্য ফ্ল্যাগ খাবে রাত ন’টার ভোঁওওওও ভোঁওওওও ভউউউউ 
কারখানা গেট খুলে পশুশালা দলে দলে শৃ্ঙ্খলা ও চুক্তিবদ্ধ খাকি
আসলে কেউ কথা বলছে না সব স্বর জিভকাটা স্বর

বন্ধ চাবাগানের গুঁড়িমারা কুয়াশা তোমাকে খুলতে দিচ্ছে না গিরগিটি গেটমিটিং মোহন শর্মার ভাই কুলি বসতির দিকে যে পথ যে লাইন চুষিকাঠির ছিবড়ে অথবা মৌমাছির মধুখোর ফেরেব্বাজ মোমচুল্লির উদয় ও অস্তের ঘানি মদেশিয় দারুপাত্র তৃষ্ণা নামের মেয়ে চালানের বহুজাতিক চাঁদমণি সেন্টার

চটকলে হয়েছে ছুটি ভিড়ে মিশে গেছি
মর্নিং শিফটের পর নাইট হুইশেলে
মুতগন্ধথুতুমাখানালা বিড়িখোর 
কামিনের কুঁজোঘরে ঘোলাটে আলোয়
অথবা সাসপেনশন মজুরির দিন
মেক মাই ট্রিপ ব্লাডি হেল
মেক মাই ট্রিপ প্যারানয়েড

এমন নয় মেঘস্তম্ভ স্থির হয়ে আছে। নিসর্গ দুলছে। জীবনানন্দের
কবিতায় কামানের মুখে বসে আছে পাখি। থমথমে বিস্ফোরণ। ফেটে পড়ার অপেক্ষা করছে...

ছয়

বাতিস্তম্ভে লিখে রাখা ঘুমিয়ে পড়ার দিন জুলাই তারিখ
স্ট্রিট কর্নারের নামফলক মুমতাজির স্কোয়ার
চিনারের পাতা হেমন্ত হলুদ জীর্ণ মর্মরিত
এসওএস এসওএস গভীর সমুদ্র ঝড় খওফ তুফানের 
জুন মাস জুড়ে নীল দোয়াতের কালি রওশন
গাঢ় জনাজার মেঘ কাঠের সেতুর কাঁধে সৌধের কবর
কোহরার দিকে বহতা ঝিলম রাহী কবেকার নিরুদ্দেশী
ছররা বন্দুকের ধ্বনি অক্ষরবৃত্তের আশি নব্বই রাউন্ড 
যে যার সেঁকেছে রুটি ছন্দ ছিঁড়ে ঢুকে গেছে চোখে
বন্দুকের ছায়া হাঁটে হাঁটতে হাঁটতে সগৌরবে পার্লামেন্ট তিরিশ বছর

খওফ যে কখন গুঁড়ি মারে
একা একা মাথার ভিতরে
মৃত চোখ ঠান্ডা চেকপোস্ট
সাঁজোয়া অলিভের শকট
অকুপেশনের ক্র্যাকডাউন
নেকড়ের দলবৃত্ত টাউন
কানি-জং শুরু হবে স্থির
রূপকথার চিনার বসতি 
পাখি বসে কামান শোয়ানো
থমথমে বিস্ফোরণ যেন
দ্রোহকাল লেখে ইশতাহার
এক থালায় সবার আহার
কানি-জং শুরু হবে স্থির
ভাসালাম ঝিলমে এ’ অস্থি


যদি এই বিপন্নতা গুহাগাত্রে বাইসনের পেশি
যদি এই বিপন্নতা আক্রমণ প্রতি আক্রমণে
অধ্যয়ন করে অস্ত্র হত্যাগাথা শিকারকাহিনি
গুহামানবের ছেলে টিকে থাকতে প্রস্তরের আদিভাষ্য শিখে
দেওয়াল দেওয়াল জুড়ে আক্রোশের বিপন্ন রেখায়
হুইলচেয়ারে বসা ভাঙাচোরা ছেলে
দড়িতে পাথর বেঁধে চক্রাকার শূন্য ছেদ করি


অকুপেশনের হাঁ-করা মুখে...
1 Comment
SOUMANA DASGUPTA
12/4/2019 18:56:00

আহা, এমন লিখতে পারতাম যদি!

Reply



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন