Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

অজৈব    কবিতা ।।  তদোগেন    গিরতে

25/9/2020

2 Comments

 
Picture

১

বামনেরা আমার ভাষা বুঝতে পারেনি। আর ভাষা যেহেতু শুধুমাত্র প্রকাশমাধ্যম নয়, অস্তিত্বও সে। ফলে তারা আমার দু পা হাঁটুর ঠিক নিচ থেকে কেটে ফেলে – যাতে সমউচ্চতায় চোখে চোখ রাখা যায়, আর মুখের গন্ধ শুঁকে তারা বুঝতে পারে, গতরাত্রে আমি কী কী খেয়েছি, পালং শাকের কুচি দাঁতে লেগে কি না। অবশ্য এ'কাজ তারা চৌকি বা চেয়ারে উঠেও করতে পারত, কিন্তু তা ঐতিহ্যবিরোধী। 
 
আমার শেকড় নেই, ফলে মাটির সঙ্গে আমার যাবৎ যোগাযোগ সংস্কারবিহীন, শুধুমাত্র নিউটনের গতিসূত্র অনুযায়ী আমার সমস্ত নড়াচড়া, ফলে আমার পায়ের প্রয়োজন হয়। কাঠের বা স্টীল ও প্লাস্টিকের। কাঠ অর্গানিক, যতক্ষণ না তাতে বার্নিশ লাগে। 
 
রসায়ন বলে, হাইড্রোকার্বন অর্গানিক, নাইট্রোজেন লাগলে তাতে রসবোধ জাগে (অন্তত স্ক্যাটোলজিকাল)। সে হিসেবে পেট্রোলিয়াম – যা মিট্টি কা তেল – অর্গানিক। অন্তত যতক্ষণ সে গভীরে জ্বলনশীল দ্বৈপায়ন হ্রদ হয়ে আছে, অথবা গ্রামীণ তাকে র‍্যাশন দোকানে খুঁজে পাচ্ছে ডিলারের মুনাফা পেরিয়ে।
 
তবে পেট্রোপণ্য যথা পলিয়েস্টার, পলিথিন, প্লাস্টিক (এমনকী রেয়ন, যা আদতে সেলুলোজ) – যা কিছু মানুষের গবেষণাগারে তৈরী হয়ে থাকে, অর্গানিক নয় – এ কথা বামনরা বলে। বামনরা বলে, সিন্থেসিস, আত্মাবর্জিত, আর আত্মা তাই যা শরীরকে স্বতস্ফুর্তি দেয় – স্পন্টানেইটি। প্রকৃত স্বতস্ফুর্তি হলো কেওসের সূত্র মেনে চলা। রেগুলেটর ঘুরিয়ে বাড়িয়ে দেয়া ব্রাউনিয় গতি। অর্গানিক তাই যা পচনশীল। তবে আত্মা অজর এবং সেও অর্গানিক, আর লোহায় মরিচা লাগে কিন্তু সে অর্গানিক নয় – এই প্যারাডক্স বামনেরা আমাকে বোঝায়নি – বরং সাবধান করেছে, আত্মাহীন মানুষ – হয় জম্বি নয় নোয়াম চমস্কি। 
 
কবিতা পচে ক্লিশে হয়, ক্লিশের মরণ নেই, ফলে অর্গানিক কবিতার পরিণতি ক্লিশে – যেমন হীরা, হীরা – কার্বন শুধু, তাপে ও চাপে ব্রাউনিয় গতির বিপক্ষে তার স্টেবল ল্যাটিস। তবে হীরার প্রতি মানুষের লোভ, খুনোখুনি, এ'সমস্তই অর্গানিক – লোকে বলে।
 
বামন  বলেছে, আত্মা ঐতিহ্য, কবিতা তাকে বহন করবে, এই মাত্র। আমার ঐতিহ্য আমি কেওসের সূত্র মেনেই আটাকামা থেকে গ্রীনল্যান্ডে ছড়িয়ে এসেছি জানাতে, তারা বলে স্বতস্ফুর্তি অভ্যাস করো – প্রস্রাবত্যাগের সময় পৈতে জড়িয়ে নাও কানে। আমি তাদের প্রভাতে তাদেরই মতন ঘুম থেকে উঠে দেখি, নুংকু শক্ত হয়ে আছে, বিক্ষিপ্ত ঝলকে ঝলকে পেচ্ছাপ বেরোচ্ছে-- স্ট্রীম নেই, ধারা নেই। স্বতস্ফুর্তি যদি উত্তেজনা হয়, পেচ্ছাপ; প্রকাশ, এই মুহূর্তে যা চূড়ান্ত ব্যহত, এ কথা বোঝাবো কাকে? ফলে অপেক্ষা করি নেতিয়ে পড়ার তারপর যা লেখার লিখি।
 
 লিখেছি – বৃহৎ বনে, ক্ষুদ্র এক পুষ্প ফুটে আছে, তিলফুল হেন নাকে, হীরকের ঘাম, দুলিছে নোলক।
 
বামনেরা বলেছে, এ লেখা ভারতচন্দ্র লিখলে অর্গানিক হতো, কিন্তু তোমার হাতে এ সেলুলয়েডের গজদন্ত বিশেষ...।
 
বুঝেছি, শ্রীহরি, শেষপর্যন্ত অর্গানিক হলো গিয়ে পাত্রভিত্তিক।
 
২
কুয়াশা আর প্রার্থনার গন্ধ এক – যে বলেছিল, সে এখন নিজেই কুয়াশা। 
 
এইখান থেকে আলো আসে। সেলার থেকে। মাকড়সার জাল বেয়ে। ধুলোজমা তাক আর ওয়াইন বোতল পেরিয়ে। সিঁড়ি বেয়ে তার পায়ের শব্দ, দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢোকে। আর আমরা, কাঁপতে কাঁপতে প্রার্থনা করি।
 
সে বছর অবশ্য আলো, আকাশ থেকে এসেছিল – এর মধ্যে কোনো চালাকি নেই, লোকে বলে। লোকে বলে – প্রার্থনার সময় মানুষ চোখ বুজে ফেলে – কারণ সে অন্য কোনো মুখ ভেবে উঠতে চায় না – অন্তত সেই অন্য এক মানুষের মুখ, যার প্রার্থনা সে ভেস্তে দিতে চাইছে।
 
দৃশ্য ছাড়া মানুষ কিছুকে অর্গানিক ভাববে কি করে? আনপালিশড ডাল হাতে নিয়ে সে কিছুই বোঝে না – যতক্ষণ না ম্যাড়ম্যাড়ে অনুজ্বলতা এসে তাকে বলছে – উজ্বল হোক তোমার ত্বক – সে চোখ বুজে প্রার্থনা করে, তার ত্বকের সেন্সিটিভিটি তাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক উজ্বলতার বিনিময়ে। 
 
আমি যে কবিতা লিখতে চাইছি না – সেটা কেউ বিশ্বাস করে না – যতই বোঝাই, আমি জাস্ট নিজের চারপাশের অর্থ বুঝতে চাইছি, আর যা বুঝছি, তা নিজের ভাষায় লিখে রাখছি – যে ভাষা আমার নিজের আর ইফ্রিতের আর কুয়াশার। প্রার্থনার কথা যখন ওঠে, তখন সোজাসুজিই বলি – শুধুমাত্র কাউন্টার ন্যারেটিভের চমক আনার জন্য ইফ্রিতের কাছে প্রার্থনা করব – আমি তেমন বান্দা না। 
 
প্রার্থনার ভান আমাকে মানায়, আমার ফুলশার্ট আর তার আস্তিনের ময়লা, লুকোনো ছুরি, এই সমস্তই আমাকে মানায় – আমি ফালতু মরতে কেন আশা-ভরসার কাছে যাব? আমি তো জেনেই গেছি, সেই এক বছর ছাড়া আলো বরাবর সেলার থেকে আসে। কাঠের মেঝের ওপর তার পায়ের ঘষটানি শহরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে যায়।
 
৩
অক্ষরবৃত্তে, উপনিবেশ হোক আর প্যান্টির বিজ্ঞাপণ সমস্তই অর্গানিক লাগে। আমি, যে ক্লাইম্যাক্স চাই না – ফোরপ্লে শুধু – সেও অব্দি কন্ডোমে ব্রেইল লিপিতে অক্ষরবৃত্তেই পদ্য লিখে দিই। ডটেড কন্ডোম। কন্ডোলেন্স লিখি, এপিটাফ, এগনি কলাম, ফিরে এসো ফিরে এসো ক্ষমা দিয়ে কোরো না অসম্মান...।
 
৪
চার কাহার মিল মোরি
ডোলি সজাই রে
--
গোমতীর চরে র‍্যালিস্থল আর মাদ্রাসার ছেলেগুলি সাদা পাজামা-কুর্তা ক্রিকেট খেলছে। এক কোণে শিমুলের গাছ, সে কি জানে, ফুল ফুটুক আর না ফুটুক সে বেমানান। বেমানান তাই যা অর্গানিক নয়। আর অর্গানিক হতে চেয়েও যে আমি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মুঠোমুঠো ইউরিয়া নিজের লেখায় ঢালি, লোকজনকে বলতে পারতাম একে একে পেচ্ছাপ করে যাও, অথচ বলি না, কারণ প্রস্রাব তো ইউরিয়া মাত্র নয়, সে এক অ্যাক্ট, ডিফায়েন্সের। আর অন্যের মাধ্যমে নিজেকে ডিফাই করা কাজের কথা নয়। চার কাহার ডোলি উঠালে, আপনা বেগানা হলে, দূর দেখা যায়, কাছও দেখা যায়, পরিষ্কার ক্রীস্টালের মত, তাই আজকাল অভিযোগ তুলতে পারি না – যা বলছি আর যা বলতে চাইছি তা এক নয়।
 
রাত্রের দিকে তোমার মুখে ভিন্ন ভাষার গন্ধ টের পাই। নিজের মুখেও।

2 Comments
Abhishek Jha
2/10/2020 13:16:36

পড়লাম। তোমাকে বারবার পড়ি এবং তোমার দর্শনে আমি 'মুগ্ধতায়' আটকে থাকি না কনশাসলিই। কারণ খুব কনশাস না থাকলে তোমার কবিতার দর্শনের ভেইকল হিসেবে ব্যবহৃত কবিতা-শরীর আলেয়ালোভী করে তোলে। আমার এখন দেখতে ইচ্ছে করে তোমার কবিতার বাঁক ধরে যারা কবিতা লিখবে ( এবং লিখবেই, এটা তোমার হাতে নেই), তারা তোমার দর্শনকে কীভাবে এক্সপ্লোর ও ডিনাই করবে।

Reply
তদোগেন
2/10/2020 14:03:34

কৃতজ্ঞ থাকি অভিষেক, তোমার কাছে। মুগ্ধতা জিনিসটার প্রতি অ্যাপাথি ধরে গেছে। ব্যবচ্ছেদ প্রশ্ন ও কাউন্টারই শেষপর্যন্ত উপায়, এই মানি। মুগ্ধতা ঘুণ, ধীরে ধীরে সমস্ত সেনসিবিলিটিকে খেয়ে ফেলে। তারপর ব্যবসার জস্যগাকে প্রশস্ত করে। প্রশ্ন হোক। কাউন্টার হোক। আমি উত্তর দিই কি না দিই, সেটা ম্যাটার করে না।

Reply



Leave a Reply.

    Archives

    April 2021
    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন