Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

ম্যাড   মঙ্ক ।।  শুভ   আঢ্য

4/4/2019

0 Comments

 
Picture
৩৫
দুর্বোধ্যতা এক ভাষা যা শিল্পীদের থাকে 
অথচ আমি সাধারণ মানুষ, আমার দুর্বল ভাষা -
যা দিয়ে তোমাদের সাথে সংযোগ করতে চাওয়া,
তাকে তোমরা বর্জন করেছিলে, তা দুর্বোধ্য নয় যদিও
 
এখন ওই পাখীগুলোর ভেতর তাকালে দেখতে পাই
তোমাদের বাড়ি আলোয় ভরে যাচ্ছে, ওই বরফের তলায়
উষ্মা নিয়ে মাছগুলো ঘুরছে বর্শার কাছাকাছি, আমি
শিল্পী নই যে এ নিয়ে কোনো দৃশ্য রচনা করবো, শুধু
তাদের দেখা ছাড়া কিছুই করণীয় নেই, তারা তাদের
অতীতের সাথে সংযোগ করতে চায় না, অথচ তোমরা
যার ভাষা বোঝো না, তার সঙ্গেই সঙ্গম করতে চাও
বিন্যাস আলগা রেখে ধরে ফেলতে চাও পাখীগুলো
আর ধাঁচের ভেতর এনে ফেলতে চাও দুর্বোধ্যতাকেও
 
আমি শিল্পী না, এই মুহুর্তে আমার ভেতর পাখীগুলো
মুষড়ে পড়ল, নিভে গেল আলো, অথচ দেখো
আমি ব্রাদার গ্রিগরি, তাদের হাতে হাত রেখে দেখাতে
পারলাম না অন্ধকারগুলো, তাদের অতীতও বলতে
পারলাম না, ওরা জানতেও চাইল না, নিগূঢ় ওরাই

 
৩৬
এই খাঁচা তোমার, এই পরিত্যক্ত বরফ তোমার
তুমি এখানে আমাকে বসাও, তোমার গেল
যে দিন, তার ভেতর দেখো পাহাড়ের ধারে অলক্ষ্যে
আমি গ্রিগরি বেড়ে উঠছি বোগেনভেলিয়া হয়ে
 
আর তোমারই টোম্যাটো ভাসমান, তার ওপর কিঞ্চিৎ
কার্পাস ছোঁয়া, দু'টো বোতাম, খোলা খোলা প্রায় যে দিন
গেল তোমার পরিত্যক্ত সেখানে একা আমি, কেন
 
তোমার এই খাঁচার ভেতর দিন, দুপুর, অন্ধকার
কেন আমাকেই দেখাবে আলেকজান্দ্রিয়া? যখন
সেটাও সঠিকভাবে দেখে ফেললে চান্দ্রমাসব্যাপী আমি
অসুস্থ থাকবো নিজের ভেতর... কেন? হে ঈশ্বর ওই
পরিত্যাজ্য পথে আমায় শুতে দাও, এ উন্মাদ গ্রিগরিকে
দাও এক সরাইখানা, শুধু গেল তার যে দিন প্রায়, দু'টো
টোম্যাটো আভা-সমান কার্পাসের মধ্যে গেঁথে দাও



৩৭
সে এক দেরাজ ভর্তি করে মায়া জমায়
এক মায়া পরে, তার পর আরেক মায়া
চাপায়, যেন রেমব্র‍্যান্ট, আমাকে প্রাচীরগাত্র ভাবে সে
আর রঙ চাপায়, তার চাপানউতোরে আমার অতীত
 
চোখের সামনে এক দেরাজ মায়া উপুড় করে দেয়
তার বিগতযৌবন, শোক, পাথরবাটি ওই বড় যার ভেতর
বরফঠাণ্ডা জলে সে শুয়ে পড়ে, এক মায়া খায়,
ঠোকরায় অন্য মায়া গাপ্পির মতো, সেই সব ছবি
আমানত তার, আমাকে সে আধারিত স্বীকার্য ভাবে
 
ওহ্‌, সেই মায়া, তার ভুল চলন, তার এক মায়ার পর
পরের মায়ার আলোয় চোখ আমার ধাঁধিয়ে ওঠে
আমিও প্রাচীরগাত্র হয়ে উঠি, হে রেমব্র‍্যান্ট একরঙা
ছবি, সে দু'পরতে আমাতে চাপায়, আমি কালো হয়ে উঠি
 

৩৮
তারা ভাষা, তাদের শব্দের জল, খিদের কুচি
আমি চিনি না, আমার তো কেবল খাঁড়ির ভেতর
গুঁজে মরে পুরোনো স্বর, যা ফেলে গেছে গলা তাদের
অথচ জমে আছে সেই শব্দের জল আমার মধ্যেও, বড়
অস্থির খিদে, খুব যেন গোটা কোডাক্স গিগাস লিখে
ক্লান্ত গ্রিগরি ঈশ্বরের সামনে ঝিমিয়ে পড়েছে এখন
 
তারা জল, সরযূ গাছে গাছে ফোটে, বরফের তলায়
গলা তাদের, তীক্ষ্ণ কাচে চেরা নলি, কণ্ঠ তারা আমাকে
দিয়ে যায় অসাবধানে - যেন আমি প্রাচীনতাকে ডেকে
তুলবো, অপমানকে খাঁড়ির ভেতর থেকে
তুলে বসাবো আসবাবের ভেতর... খিদে চিনি না আমি
শব্দ আমার ভেতরেও হয় ফাঁপা... স্মৃতির, অপমানের
এবং পুরোনো খাঁড়ির ভেতর থেকে চিৎকারকরেওঠে

​
0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন