Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

ডোনাল্ড   বার্থেলমি'র ছোটগল্প।। কোনারক   মুখোপাধ্যায়

28/2/2019

0 Comments

 
Picture
(মার্কিন লেখক ডোনাল্ড বার্থেলমি মূলত ছোটগল্পের জন্যই বিখ্যাত। ছোটগল্প গুলোর মজা হচ্ছে ঠিক কোন একটি নির্দিষ্ট জ্যঁর এ ফেলা যাবে না একটিকেও। অ্যাবসার্ডিস্ট? সুররিয়াল? পোস্ট মর্ডান? বিতর্কের বহু অবকাশ। নিজে স্বীকার কিরেছেন বেকেটের দ্বারা অনুপ্রেরিত হওয়ার কথা। অধিকাংশ গল্পই প্রায় তথাকথিত প্লট হীন। কিন্তু প্রতিটিই প্রায় এক একটি মাইলস্টোন। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি ডোনাল্ড বারথেলমি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, সংবাদপত্রের সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বারথেলমির ছোটগল্পগুলিকে আধুনিকতাবাদের কোলাজ বলা যেতে পারে; প্রায়শই যাতে খোঁজ মিলেছে বিষাদের আস্তরণে মোড়া উল্লাসের আবার একই সাথে প্রযুক্তিগত গবেষণারও।
তাঁর জন্ম ১৯৩১ সালের ৭ই এপ্রিল, ফিলাডেলফিয়ায়। বারথেলমের উল্লেখযোগ্য কাজগুলি হল, 'দ্য ডেড ফাদার', 'সিটি লাইফ', 'স্নো হোয়াইট'। তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন, 'কাম ব্যাক, ড. ক্যালিগ্যারি' প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। ছোটদের জন্য লেখা 'দ্য স্লাইটলি ইর্রেগুলার ফায়ার এঞ্জিন অর দ্য হিদারিং দিদারিং জ্বিন' ন্যাশনাল বুক এ্যওয়ার্ডের খেতাব জেতে ১৯৭২ সালে।
২৩শে জুলাই ১৯৮৯ সালে‌ আটান্ন বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন বারথেলমি।
)


খোক্কসনামা('জম্বিস')



​হিমেল বাতাসে গাছপালা থেকে ইতঃস্তত খসে পড়ছে পাতা। খোক্কসেরা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে – “দিনটা কিন্তু খাসা!” “তা বটে!” খোক্কসেরা গ্রামে এসেছে বৌ কিনতে, আশেপাশে বহু বহু মাইলের মধ্যে শুধু এই একটাই গ্রামের লোক খোক্কসদের বৌ বেচে। “খাসা দিন!” “বটেই তো!” খোক্কসেরা সঙ্গে নিয়ে এসেছে গরুর পাল। বৌ কিনতে সাধারণ লোকের যা খরচাপাতি পড়ে, খোক্কসদের পড়ে তার দ্বিগুণ। খোক্কসদের গরুগুলোও খোক্কস-গরু; খোক্কসরা ভয়ে ভয়ে থাকে, পাছে গ্রামের লোক সেটা বুঝে ফেলে।

তবে এরা ভালো খোক্কস। অন্ততঃ মুলকচাঁদ ডাকুস্কি তাই বলেছেন এবং মুলকচাঁদ ডাকুস্কি’র কথা অভ্রান্ত। এদের সারা গায়ে সাদা রঙ মাখা। পাজি খোক্কসে গায়ে রঙ মাখে না, তারা নাক দিয়ে কাঁদে – মানে নাকিকান্না নয়, সত্যিই নাকের ফুটো দিয়ে জল বেরোয় কাঁদলে। গ্রামের মোড়ল এবার চমৎকার সব ইঁটগাঁথা বাড়িগুলোর দিকে খোক্কসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, কিছু কিছু বাড়ি আড়াআড়ি হাজার ইঁটেরও বেশি উঁচু – আর এই সব বাড়ির জানলা দিয়ে গ্রামের মেয়েরা উঁকি মেরে দেখে, কিছু জানলায় মানিপ্ল্যান্ট, আর কিছু জানলায় মেয়েরা। “পুরুতমশাইকে আবার বলে দেবেন না যেন স্যার!” খোক্কসেরা বলে – “পুরুতমশাইকে বলে দিবি না তো? মা কালী’র দিব্বি বল্‌! দিনটা খাসা, বটেই তো!”

সাদা রঙ মাখা খোক্কসেরা গুজুর গুজুর করে বেড়ায় গ্রামের মাঝে, চারমাথার মোড়ের কাছে, খুশিতে ডগমগ সবাই। “এই একটা নতুন শেরোয়ানি কিনলুম!” “বটে?” “হাঁ, এই যে পরে আছি, শেরোয়ানি, এইটে কিনলুম, এক্কেবারে নতুন, পাটভাঙ্গা, খুবই চমৎকার কোয়ালিটির কাপড়, পরে মালুম হচ্ছে!” “হাঁ, হাঁ, খুবই চমৎকার, দেখেও মালুম হচ্ছে!” ঘেরাটোপের বাঁশের বেড়ায় গরুরা এলোপাথাড়ি লাথি ছোঁড়ে। মৃতপ্রায় কুকুর বা ঘোড়া বা অন্য কোনো জন্তুতে মুখ চেটে দিলে মানুষ খোক্কস হয়ে যায়। আইসক্রিমের ঠেলা নিয়ে বিকেলে চারমাথার মোড়ে দাঁড়ায় যে লোকটা, তার দু’টো মেয়ে। আর একজন গ্রামের উত্তর কোণের পুকুরটায় কুচোচিংড়ি চাষ করে; তার পাঁচ পাঁচটা মেয়ে। গাঁয়ের ফুটবল টীমের বাঘা সেন্টার ফরোয়ার্ড, যার বাপটা গত মাঘে রেলে কাটা পড়েছে, তার একটা ডবকা বোন আছে। মুলকচাঁদ ডাকুস্কি আজ আসেন নি। একটা বিতিকিচ্ছিরি রকমের বিষাক্ত ডুমুরের রসের প্রতিষেধক খুঁজতে তিনি গেছেন ভিনদেশে। পায়ুদ্বারে থার্মোমিটার গুঁজে একটা খোক্কস ঘেরাটোপের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ায়, তাগড়া সব গরু-মোষগুলোর পেটের তলা দিয়ে। কোত্থেকে যেন একজন খবর নিয়ে আসে, পুরুতমশাইকে নাকি দেখা গেছে গাঁয়ের মাত্র মাইল দশেক পূবে, তীরবেগে গরুর গাড়ি ছুটিয়ে নাকি এদিকপানেই আসছেন তিনি।

পাজি খোক্কস লোকের গায়ে নাক ঝাড়ে (যদিও মতভেদে সেটা কান্না), রাতবিরেতে একা পেলে ধেনোর বোতল কেড়ে নিয়ে চম্পট দেয়, মেয়েদের যে হাড় মুড়মুড়ি রোগ হয়, তার জন্যও এই পাজি খোক্কসরাই দায়ী। গ্রামের রাসমন্দিরের মাঠে, চারমাথায়, জানলায় জানলায় মেয়েদের ছড়াছড়ি, কিন্তু মদ্দার অভাব। পাজি খোক্কস ঝামা, শিরিশ কাগজ আর বাটালি হাতে ঘোরে; ধরতে পারলেই ঘসে গায়ের রঙ তুলে দেয়, তেমন তেমন সুবিধা করতে পারলে চামড়া টামড়াও। ভালো খোক্কসেরা তুড়ুক তুড়ুক নেচে বেড়ায়। “দেখলি, দেখলি, ওই মহিলাকে দেখলি? হাঁ রে, উনি আমায় বিয়ে করবেন? কে জানে! আহা, কী সুন্দরী! ওই মহিলা কি আমায় বিয়ে করবেন? কে জানে!” ধেনো’র মজুতদার একখানা বড়োসড় ধেনোভর্তি জালা এনে বসিয়েছে গ্রামের মাঝখানের অশ্বথগাছটার তলায়। গ্রামের মেয়েদের গানের দিদিমনি মিহি গলায় গান ধরেছেন – “আমার এই দেশেতেই জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি।” খোক্কসেরা বলাবলি করে – “আহাহা! কী চমৎকার দিন! কী মধুর সঙ্গীত! কী তোফা মদ! ওই সুন্দরী মহিলা কি আমায় বিয়ে করবেন? কে জানে!” হিমেল হাওয়ায় পাতা ঝড়ে পড়ে, এ গাছ থেকে, সে গাছ থেকে।

খোক্কসনায়ক মুলকচাঁদ ডাকুস্কি বলেছেন – “খোক্কস দু’প্রকার – ভালো ও পাজি; ঠিক যেমন মানুষের ক্ষেত্রেও ভালো লোক আর বদমায়েশ লোক দুইই হয়।“ মুলকচাঁদ ডাকুস্কি বলেন তাঁর পরিচিত বেশিরভাগ খোক্কসই ভালো প্রজাতির এবং তাঁর মতে এরা সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন যে কোনো পদে অধিষ্টিত হওয়ার যোগ্য – ব্যবসা বাণিজ্যে, বড় কোম্পানীর ম্যানেজমেন্টে বা সরকারী পদে তো বটেই, এমনকি শাস্ত্র ও দর্শণের গূঢ় আলোচনা, বিবাহ, পূজাপাঠ ও ধর্মীয় আচার পালন, ধর্মজ্ঞান দান, আইন প্রণয়ন, আইন রক্ষা – সবেতেই এরা অংশগ্রহণ করতে সমর্থ। কিন্তু বাদ সেধেছিলেন পুরুতমশাই – “এসব চলবে না।“ তখন খোক্কসেরা পুরুতমশাইকে অনেক গরু-ছাগল-ভেড়া সব ভেট পাঠায়। তারপর পুরুতমশাই বলেন  পূজাপাঠ ছাড়া বাকি সব চলতে পারে। পাজি খোক্কসে ধরলে লোক হিসি চেপে রাখতে পারে না। পাজি খোক্কসে একবার রাতের অন্ধকারে পুরুতমশাইয়ের গাড়িতে মরা গরু ছুঁড়ে মেরেছিলো। সকালে চাকা থেকে গরুর নাড়িভুঁড়ি সাফ করতে গিয়ে পুরুতমশাইয়ের আঙুল টাঙুল কেটে রক্তারক্তি হয়েছিলো। মুলকচাঁদ ডাকুস্কি ঠিক করেন কে ভালো আর কে পাজি খোক্কস। যখন মুলকচাঁদ থাকেন না, তখন তাঁর শাশুড়ি ঠিক করেন। রোগাপানা উঠতি বয়সের মেয়েদের একটা দল শানবাঁধানো পুকুরঘাটে বসে আছে, একটা খোক্কস গুটিগুটি তাদের কাছে এগিয়ে গিয়ে তীব্র হাত-পা নেড়ে তাদের আদর্শ খোক্কসবাড়ির প্রাতরাশের সাতকাহন শোনাতে শুরু করে।

“সোমবার!” খোক্কস বলতে থাকে – “দেশি ঘি’য়ে ভাজা ফুলকো নুচি লম্বা করে কাটা দিনাজপুরী বেগুন ভাজা কুচো নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল কাশ্মিরী আলুর দম নতুন আলু দিয়ে – নতুন আলু মানে এট্টুন এট্টুন আলু, পিংপং বল সাইজের – সঙ্গে খাঁটি দুধের রাবড়ি আর রসমালাই আর নেবু চা! মঙ্গলবার! ব্যাটারফ্রাই বাসা ফিলে সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর তিন ধরণের ডিপ হানি-মাস্টার্ড জিঞ্জার-কোরিয়্যাণ্ডার আর বাটার-গার্লিক সানি সাইড আপ ডিম ভাজা বেকন – যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের জন্য কানাডার বেকন, ব্রয়েলড হাঙ্গেরিয়ান সসেজ আর ক্রেম ব্রুলে সাথে পাইন্যাপল জুস আর লেমন টী! বুধবার! মেথি পরান্থা আলু পরান্থা গোবি পরান্থা আর স্পেশাল চিকেন পরান্থা – নো তেল, গাওয়া ঘি’য়ে ভাজা, মাখন ঘরে পাতা টক দই বিটনুন ছড়িয়ে লঙ্কার আচার মাটনের কিমা-ছোলা ব্রয়েলড ব্যান মারি শাহি টুকরা আর ভ্যানিলা আইসক্রিমে গরম জিলিপি আর লেমন টী! বিষ্যুদবার! গ্রাউণ্ড পর্ক শর্ট রিবস আর ভেজিটেবল দিয়ে প্যান ফ্রায়েড মিয়েনতিয়াও যাদের গ্লুটেন অ্যালার্জি তাদের জন্য মেইফুন চিকেন-মাশরুম ফু-ইয়ান আ লা কার্ত পর্ক স্টাফড বাওৎজর চিকেন স্টক স্টাফড তুংবাও বা স্টাফিং পছন্দ না হলে প্লেন মানতাও ভেজিটেবল নুডল স্যুপে ব্রয়েলড হ্‌য়ন্তয়ন আর ঝিয়াওৎজর আল দান্তে ঝিয়েনবিং আর সাথে মিষ্টি জঙ্ঘজু আর সয়াবিন মিল্ক দিয়ে ডিপ ফ্রায়েড ইয়োহ্‌তিয়াও শেষমেষ গরমাগরম ঝাওৎচা আর লেমন টী! শুক্রবার! চয়েজ অফ কফি – এসপ্রেসো, কাপুচিনো বা কাফে লাতে, বাটারি কর্নেত্তো উইদ অরেঞ্জ-রাইণ্ড গ্লেজ ক্রস্তাতা টার্ট ফিলিং-এ আমারিনা আলবিকোকা বা ফ্রুত্তি দি বস্কো – যেটা পছন্দ, ভিয়েনয়সেরির মধ্যে ক্রিম ফিলড ব্রিয়শ স্ত্রুদেল দি মেলে আর ট্র্যাডিশনাল আপফেলস্ত্রুদেল এর সাথে বেকড এগ অ্যাণ্ড সসেজ ইন পারমেসানো আর লেমন টী! শনিবার! ক্রিম ওটমিল ফ্রিকাসে কলা স্ট্রবেরি উইথ ক্রিম ব্রয়েলড অয়েস্টার ফ্লম্বে টপড উইদ ব্রেডক্রাম্ব ক্রুটনস আর কেপারস ফ্রায়েড লিভার ফ্রায়েড পার্চ লিয়োনিজ আলু আর্ব অমলেট বুকে গার্ণিয়ে পোচড বেকন ইন টারটার সস আর লেমন টী!” লম্বা একটা শ্বাস নেয় খোক্কস। “রোববার!” ফের বলতে শুরু করে সে। “পিচেস উইদ ক্রিম অউ গ্র্যাটিন দুধ দিয়ে ক্র্যাকড হুইট ব্রয়েলড স্প্যানিশ ম্যাকারেল আর ফ্রিকাসে গ্লেস দে ভিয়ান্দে মেইট্র ডিওটেল ক্রিম চিকেন ইংলিশ মাফিনের উপর ব্রয়েলড উডকক অরস দ্য’উভরে ম্যাশড পট্যাটো এগ বেনেডিক্ট ফয় গ্রা আর অয়স্টার সঙ্গে ব্রয়েলড ল্যাম্ব চপস আর পাউণ্ড কেক উইদ সিরাপ আর লেমন টী! আর বিলিতি শ্যাম্পেন!” খোক্কসেরা কুতকুতে কোটরে ঢোকা চোখ পিটপিটিয়ে দেখে, বোঝার চেষ্টা করে খ্যাঁটনের মেনুটা মেয়েদের মনে ধরল কি না।

বাজারের এক কোণে নর্দমার পাশে একটা হুলো মরছে। একজন ওঝা (খোক্কস-উৎপাদক) একটা চিমসেপানা লোকের চুলের মুঠি ধরে তার মুখটা হুলোটার দিকে বাড়িয়ে ধরছে। খোক্কস-জন্ম পেয়ে প্রথমে বছর দশেক ওঝা-বাবা’র জন্য ফাইফরমাশ খাটলে মুক্তি পাওয়া যায়, অবশ্য সে কেবল ওঝা-বাবা’র চাকরি থেকে, খোক্কস জীবন থেকে নয়, বাকি গোটা জীবনটা তাকে খোক্কস হয়েই কাটাতে হবে। পুরুতমশাইয়ের গাড়ি দিব্য চলছে। এ গাঁয়ের মেয়েদের কয়েক শতক ধরে কোনো সত্যিকারের বর জোটেনি। মেয়েরা সব একে অন্যকে চুমু খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে, তবে কিছু মেয়ে বাদ দিয়ে, তারা ক্লান্ত হয়নি। মেয়েদের বাপেরা তাদের সেলাই মেশিন, ড্রেসিং টেবিল আর তোয়ালের খরচা যোগাতে যোগাতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। একটা ন্যাড়ামাথা খোক্কস বলে – “আহা! কী সুন্দরী এই মহিলা! আমি খুব ভালো বর হবো! হাঁ, খুব খুব ভালো ব্যাভার করবো, মাথায় তুলে রাখবো!” পাজি খোক্কসেরা এ বাড়ি সে বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে হেলান দিয়ে চোখ মটকে দেখে। পাজি খোক্কসের নারীসঙ্গ আইনবিরুদ্ধ, ভেড়ার লোমের এঁটুলিপোকা ছাড়া কোনো প্রাণীর সাথেই এদের সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া আইনবিরুদ্ধ। মেয়েদের অবশ্য কোনো খোক্কসই পছন্দ না, তবে এখানে বর বলতে এরাই। এক মহিলা আর এক মহিলাকে বলে – “এরা তো সব খোক্কস!” “হাঁ তো!” অন্য মহিলা উত্তর দেয়, “চমৎকার একটা লোককে দেখেছিলাম, কাগজে তার ছবি ছিলো, কিন্তু এখানে দেখছি না।“ ঘেরাটোপের মধ্যের খোক্কসটা থার্মোমিটার বের করে দেখে – একশো দশ ডিগ্রি।

প্লাস্টিকের জালায় মুড়ো ঝাঁটা দিয়ে সমবেত গ্রামবাসী তাল ঠুকতে থাকে। পুরুতমশাই গরুর গাড়ি ছুটিয়ে চলে আসেন, তার গাড়ির সামনে পিছনে দু’পাশে পতপত করে ওড়ে গেরুয়া নিশান। “চলবে না, চলবে না, চলতে পারে না!” গাঁক গাঁক করে ওঠেন পুরুতমশাই। উড়ন্ত রথে চেপে মুলকচাঁদ ডাকুস্কি উপস্থিত হন ও পুরুতমশাইয়ের চোখ চেপে ধরেন হু’হাত দিয়ে। সূর্যাস্তের রাঙা আকাশের নিচে এক এক বারে দু’ দু’জোড়া বিবাহার্থীর বিবাহানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। গরু-মোষেদের দাপাদাপিতে ঘেরাটোপের ঠুনকো বাঁশের বেড়া কেঁপে কেঁপে ওঠে। নতুন বৌ’রা তাদের নতুন বরেদের দিকে ফিরে বলে, “কোনো ব্যপার না, আমরা শুতে যাওয়ার সময় তোমাদের ছবির উপর সুন্দর সুন্দর সব পুরুষদের ছবি কেটে লাগিয়ে দেবো ‘খন, আপাততঃ মিষ্টিমুখ করা যাক।“ ভালো খোক্কসেরা বলে, “হাঁ, হাঁ, বটেই তো, বটেই তো, অবশ্যই, একশোবার!” পাজি খোক্কসেরা পুরুতমশাইয়ের গাড়ির সিটে ভেড়ার গায়ের এঁটুলিপোকা ছেড়ে দেয়। পাজি খোক্কস ধরলে খরখরে নারকেল ছোবড়া দিয়ে চামড়া ঘষে দেবে। পাজি খোক্কস ধরলে লোকে উন্মুক্ত একজোড়া সুডৌল স্তনের সামনে দিয়ে গটগট করে হেঁটে চলে যাবে একবারও না তাকিয়ে।



0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    April 2021
    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন