Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

ছয়টি     কবিতা ।।  তনুজ    সরকার

25/9/2020

0 Comments

 
Picture


দ্য মেমারিজ অফ আগরতলা
 
এখানে স্মর্তব্য,বেঙ্গল প্রভিন্সের 
কমান্ডার-ইন-চিফ তথা 
সেই স্মার্ত অঞ্চলের ফার্স্ট ড্যাঙ্ক টুরিস্ট কাম 
কমপালসিভ উইন্ডোশপার কাম ইদানিংকার
শ্রেষ্ঠ মিম মেটিরিয়াল রবীন্দ্রনাথ টেগোর 
সাত-সাতবার ত্রিপুরায় এসেছিলেন।
 
(কেন আসতেন কে জানে,মে বি হি ওয়াজ 
পেড ফর হ্যান্ডসামলি বাই দ্য দেন বুবুগ্রা অর হু নোজ, 
মে বি বাংলা ইমো পোয়েট্রি ওয়ার্কড ফর আওয়ার 
বুবুগ্রা লাইক ক্যাভিয়ার অর ইভেন বেটার,ফঁয়ে গ্রাঁ!)
 
ফলস্বরপ তাঁর অরিজিনালের চেয়েও কমপ্লিট ও 
ইলাস্ট্রেটেড প্রতিকৃতিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন 
আগরতলার এই স্বনামধন্য বয়েজ ওনলি স্কুলের 
সাইকেলস্ট্যান্ডের বাইরে।
 
আন্ডার দ্য ব্রাইট ইস্টার্ন সান ইন এন
অ্যাপ্রক্সিমেটলি নর্থ-ইস্টার্ন সিটি
 
দোর্দন্ডপ্রতাপ রবীন্দ্রনাথ দাঁড়ানো,
বাংলা ভাষার এগারো নম্বর জুতো পায়ে,
ভ্রু সামান্য কুঞ্চিত,দৃষ্টি নিবদ্ধ আকাশে,
কয়েকশো বুভুক্ষু যক্ষের বিরহে যাওয়া-আসা ও
আসা-যাওয়ার মাত্রাবৃত্ত গুণছেন।
 
এক-একটা গরমের পর শীত-বসন্ত-বর্ষা ঋতু
তাঁর সাথে কী করবে কেউ জানে না।
 
 
 
ইন এবসেনশিয়া
 
 
এখন দেখছি বড়পিসির হাতে বোনা কবিতা,লাইভ,
দেখা বলতে দেখাই,নো হ্যাঙ্কি-প্যাঙ্কি--
দুজন সুতোর ময়ূরী,একে অপরের নখেমুখে
চেয়ে থাকতে পারছে না,এমনই নির্নিমেষ সূর্য ছবিতে,
এমনই মাহ ভাদর ও পার্ডন মি,
এমনই অনতিক্রম্য সবুজ জমিন মাঝখানে যে
সেই জমিতে দ্রুতবেগে সেলাই হচ্ছে ঘাস।
বুননপ্রতিভা ঘাসকে করছে যত গাঢ়,
বর্ণনপ্রতিভা ঘাসকে করছে তত দ্রুত,আরও দ্রুত
 
দুব্বা,দুব্বা--
 
মাই লভ।টিল ডেথ ডু আস পার্ট।দুগ্গা,দুগ্গা।
 
(দ্রঃ - ‘মেয়েলি সেলাই পদ্ধতি’র দ্বিতীয় সটীক সংস্করণে 
প্রকাশিত ‘পোয়েটেস এজ আ ডার্টি ইন্ডিয়ান স্লাট’ শীর্ষক 
বড়পিসির লেখা একমাত্র কবিতার শেষ পৃষ্ঠা,
পৃঃ নং ১৭ থেকে উদ্ভাবিত।)
 
 
 
 
(          ) মূলক বস্তুবাদ
 
১
 
জর্জ বাতাই আমাদের মনশ্চক্ষু দেন।
 
আনন্দ ও পীড়ন ব্যতীত 
আমাদের কোনো সাম্রাজ্য নাই,পতন নাই,
 
পতনোন্মুখতা নাই,বলতে বলতে 
তিনি হাসেন।
 
দেখাদেখি আমিও  
শ্রীমৎ বাঁড়া হাতে হাসতে বসি।হা হা।
জগৎসংসারে লকার রুমের হাসি 
হাসতে থাকি।হো হো।
 
প্রচল মূর্তির কাঁধে 
ইথারের উড়ুক্কু ডানা কে দেখেছে?কে?
                                                
বরং এবার কঠোর হও--
 
বলো,জয় গুদ জয় বাঁড়া!
 
জয় গুদ জয় বাঁড়া
জয় হে ইথারবাহিত,
জয় শ্রবণেন্দ্রিয়,এই বলে
 
আমি ও বাচন হাসতে থাকি জোরে।
 
তারপর আমি ও বাচন 
হাসতে থাকি জোরে
 
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়।
 
আসলে যা দরজার খিল।
 
আমার চরমে কেউ জাহাজ ছেড়েছে,
জাহাজ ছেড়েছে কেউ আমার চরমে।
 
জলে অন্ধকার;
জলে আঁধার রয়েছে জ্বলে
 
জর্জ বাতাই আমাদের মনশ্চক্ষু দেন।
 
২
 
তবে শোন্,আস্ত গমকঘর প্রয়োগ করতে হবে 
 
               কী? আবার কী মারাচ্ছে? দিনরাত ছটফট করি--
 
                         আর্ট,ও আর্ট,আমার খচাৎ সাঁই,খচাৎ সাঁই
 
        ওই দেখ,লজের মাথায় উড়ছে কি রূপ,পঞ্চমুখী রাত
 
                      রূপ; তার পঞ্চমুখে একই সমবায়  
 
                 ট্রা ট্রা ট্রা সারারাত--
 
 কেউ দরজা ধাক্কায় 
         
           কেউ বেহালা বাজায়
 
                 মুহূর্তে কোনো পাতাখোর বাসে উঠে যায়
 
সকাল সাড়ে সাতটা আবার ভাঙ্গে পাথরের মত 
 
           —করজ্ঞলিপুরে!
 
আব্বে গান্ডু,ওঠ,শুধু গমকঘর প্রয়োগ করলে হবে?


 
ব্যাসড্রপ

১
 
মঠ ছেড়ে মাঠে-মাঠে ঘুরছি,কিন্তু ভন্তে,
এখানে তো কেউ নেই,
মুখর ত্রিপল নেই,বাঁশের মাচা নেই,ঘুঙরু নেই,
লন্ডা নেই,নাচ নেই।
 
যেখানে আদলটুকু আছে--
পাত্র নেই,পাত্রী নেই,ভিক্ষা নেই,
কোমর ও কম্পন নেই।
 
কখনও ভাস্কর্য আছে,ভাস্কর্য থেকে যাত্রা আছে,
‘ভউজি হমার’,আছে মুক্তি ও মুক্তিপণ : সেই নাচই,
সেই হোঁঠই,তবু দুই হোঁঠের সঞ্চারে সেই অপ্রমেয় সিটি--
সেই মুখের মন্দিরা নেই,নেই,নেই।
 
তবে কোথাও একটা অস্থির জাতক বাজছে 
একটা অস্থির জাতক কোথায় বাজছে তবে? 
 
যার শরীর নেই,বর্ম নেই,কান্ড নেই,কীর্তি নেই,
নেই কোনো অনুগত টিপার কিংবা
কোনো গৌণ মেষশাবকও যার 
হাতের তালুতে নড়ে নাই,চরে নাই।
 
অর্থাৎ জীবনে ভন্তে যার বাহান্ন তাস নেই
 
আছে বলতে যার কাছে আছে এক বহুস্বর,চিঠি,
আছে বলতে তাতে লেখা আছে ‘ঘরকে চলো,
                                                 —তোহার পিয়ারী,
ফিরে চলো ঘরকে’।
 
আছে বলতে সে চিঠির উত্তরে প্রয়োগের রোমহর্ষ আছে--
 
অরে পিয়ারী দেস্ তনি দেখে দে হমকে।
 
अरे प्‍यारी देस तनी देखे द हम के।
 
(শেষ লাইনটি ভোজপুরী সাহিত্যের 
অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার-পালাকার 
ভিখারি ঠাকুরের লেখা বিদেসিয়া নাটক
থেকে নেয়া হয়েছে।)
  
২
 
টেবল থেকে দূরে একটা গাছকে দেখলাম আমি--
সুতরাং গাছটা হয়ে গেল তনুজগাছ।
এইমাত্র একটা পাখিকে 
সেই গাছের ডাল থেকে উড়ে যেতে দেখছি,
সন্দেহ নেই,বাস্তবিকই,
আটটা পনেরোর সকাল থেকে তবে 
অতিপরিচিত তনুজপাখিটিই উড়ল।
 
এবার এসেছে বিকেল--
একের বদলে এখন অনেক পাখি অনেক গাছে।
 
আমরা,মানে এই গাছ ও গাছেদের 
অগুণতি কান্ডে বসা 
অগুণতি পাখিরা কিংবা
আমি ও গাছটা,  
আমি ও পাখিটা যে দৃশ্যত এক,
সে কথা অবশ্য শুরুতেই বলেছি।
 
তারপর সন্ধ্যা ও রাত; চকিতে রাত নামার আগে
আকাশের অপ্রতুল বুক ঘষটে যখন অসংখ্য পাখি 
একে একে বিদায় নেবে,ফর্ফর ফর্ফর,একই নিয়মে
আমিই অসংখ্য হয়ে উড়ে চলে যাবো প্রত্যেকবার।
 
হয়তো উড়ন্ত অবস্থায় চলে গেলে 
টেবল থেকে কিছু একটা 
খসে পড়ার শব্দ হতে পারে,অথবা, 
হয়তো এই সব,এই সমস্ত কিছু এত ধীরে হচ্ছে ও
হয়েই চলেছে যে আপনাদের মনে হবে,
আমি আমার অসংখ্য নির্জনতা থেকে
সেই অনেক পাখিদের ও গাছেদের 
এই বিশাল আকাশটাকে
ক্রমাগত ঘষটে যাওয়ার ধ্বনি 
পরপর শুনতে পাচ্ছি ও বেঁচে আছি।
 
 
মার্গসঙ্গীত মেড ইজি

তুমি ভাত বললে গাছে ভাটফুল ফোটে,
মানুষ নরম খুব জোরের নিকটে।
 
তুমি বললে নারীর পিঠে গম চাষ হয়,
ছেড়েছি ময়মনসিংহ,অচিরাৎ ভয়।
 
তুমি বললে হাঁটো,পথ বিতংস হল,
আমরা সজনেডাটা আর শৃঙ্খলও,এতদিন।
 
এবার একটা কথা বলো,অনশনরত,
তুমি কী তামাক খাও মোহরের মত?
 
তুমি কী তামাক খাও মহড়ার মত?
 
  
নাইটশিফট 
 
১
 
‘let him who is without sin cast the first stone’
 
বেশ,তোমার কোথায় হবে? লিভারে নিশ্চিত--
কেন,ফুসফুসই বা কী দোষ করল
 
এত এত যে সিগারেট খাচ্ছি,রোলকল হচ্ছে না?
 
দু-সপ্তাহের সোডার বোতল জড়ো করতেই 
আজকাল কালঘাম বেরিয়ে যায়।
 
কিন্তু এই কর্কটক্রান্তির দেশে 
সহসাই যদি লেগ বিফোর হয়ে যাই
 
মানে,ধরা যাক চোখে,চক্ষে 
 
তখন কী আর খেলা ঘুরবে গুরু?
 
তখন কী মাটিতে মাদুর পেতে বসে
আয়ুর সরায় আর লিখতে পারবো--
 
চন্দ্রাবতী চই চই,
অমরাবতী সই সই?
  
২
 
আমাদের হাসপাতালে কোনো চুয়ান্ন নম্বর বেড নেই
৫৩ আছে,৫১ আছে,৪৯ তো জানালার পাশেই--
 
তার বাইরে অর্জুন গাছ,উলূপী গাছ,শিখন্ডী গাছের সারি
 
৫১-র ভেজা গামছাটা ৪৯ জানালার ঊনপঞ্চাশ মুখে উড়ছে
 
জানালাটা এই মুহূর্তে তবে রতি ও বিরতি একইসাথে--
 
কিন্তু চুয়ান্ন নম্বর বেড কোথায়? চুয়ান্ন?
 
১৮x৩ 
 
আঠেরো খন্ড পুরাণের সাশ্রয়ী গুনিতকে?
পাণিনিতে? গৃহ্যসূত্রে? অনেক পরে লেখা যোগ-বশিষ্ঠতে?
 
ট্যারোকার্ড রিডার বলছে,বেড নম্বর চুয়ান্ন বলে কঠোপনিষদে
স্মৃতির বিষয়ে এক অভিষিক্ত পুরুষের ফ্রিজিড এন্ট্রি ছিল
(সম্পূর্ণ স্ত্রীকে সন্তানের কাছে ভগ্নাংশে হারানোর পর 
কঠোপনিষদ তাঁর কনিষ্ঠ সন্তানের টর্সোটা
সরযূ নদীতীরে ঘষটে নিয়ে এলেন,তারপর?)
 
ফালতু উপনিষদ-টদ কে পড়তে যাবে এখন,
সংস্কৃত ইরটিকাই পড়িনি কখনও 
 
তার চেয়ে এই ভালো,আমি স্তুতি ও প্রস্তুতিহীন
আর আমার এক্ষুনি একটা বেড চাই,চুয়ান্ন নম্বর 
 
চুয়ান্ন নম্বর না পেলে সিস্টার 
 
আমি আয়কর দেব না মহাভারতকে
 
মহাভারত,শুনতে পাচ্ছ?
 
নাউ,বিট ইট!
 

0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    April 2021
    February 2021
    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন