Agony Opera
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন
Search

বাইক   সিরিজ   ।।  ঋষি সৌরভ  অরণ‍্য

28/10/2018

0 Comments

 
Picture

বাইক সিরিজ ৫



হৃষিকেশ থেকে বাঞ্জি জাম্পিং এর অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চাইলে - অধিকাংশ কিশোরীর থেকেই জবাব পেতাম............. "না"


এই "না"-এর মাধ্যমে একটা ডমিনেশন এর সুযোগ আমায় উপহার দিতেন অজান্তে কিশোরীরা,

আর সেই সুযোগের দড়ি টানাটানি খেলায় প্রায় চরম মুহূর্তে দড়ি ছেড়ে দিয়ে মাধ্যাকর্ষণের কাছে হার মানতাম আমি। পৃথিবীর সমস্ত বেড়াল তখন চোখ বুজেছে। আয়েশ করে বসেছে আদর খাবে বলে...


অথচ সেই একই প্রশ্নের উত্তরে "হ্যাঁ" বলেছিলো ক্ষিতীজা। শুধু তাই না,  জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি সূঁচসম চওড়া অথচ মারিয়ানাসম গভীর খাদে কিভাবে প্রাণের স্পন্দন আর অ্যাড্রিনালিন মাখামাখি হয়ে যায়,  আলো-ভয়-ব্যথা-প্রিয়জন-ঘূর্ণন-গাছ-গাছের সবুজ... কিছু অপ্রাসঙ্গিক শব্দ বিক্ষিপ্ত টোকা মারে অস্তিত্বে, কিভাবে নিজের ভেতর থেকে নিজের কোয়াণ্টাম আমি গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছুরিত হতে হতে আছড়ে পড়ে হাওয়ায় বিদ্ধ হাওয়ার শলাকায়!  বলেছিলো, আঠারো বছরের নাবালক গতিপথে যেসব ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত বমিরা সংঘটিত হয়েছিলো অথবা, হবো হবো থেকে হয়ই নি কোনওদিন - তাদের ভেতরে কিছু অদ্ভুত আকৃতি মুখের কথা!  যাদের সাথে বাপের জন্মেও পরিচিতি ছিল না ক্ষিতীজার... এরা কারা?


আমি যে মুগ্ধ শ্রোতার মত এইসব শুনেছিলাম, তা না - 

নির্জন পাহাড়চূড়ায় অতিসাধারণ এক ঘণ্টাধ্বনি যেভাবে খাঁ খাঁ বেজে ওঠে.. বাজতে থাকে...বাজতেই থাকে...পাথরে...পাহাড়ে...মাথায়


আমারই গভীরে ঢুকে, আমারই প্রশ্নের দেখানো পথে ক্ষিতীজা মাথার ভেতরে সেই ঘণ্টাটিকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। তার সেই হ্যাঁ-অধিক "হ্যাঁ" এবং নিখুঁত অনুপাতে মেশানো বিনয়... আমার ডানগালে এক মোক্ষম থাপ্পড় মেরে খাঁচার বাঘটাকে আস্কারা দিয়ে ফেলেছিলো যেন


এখন, লোকালয় ছেড়ে বহুদূরে... ক্ষিতীজার চেয়েও বহুদূরে... এক রোদেলা হাওয়ার হিমেল তাঁবুতে বসে সেই বাঘটার ক্ষত মেরামত করছি। চাবুকের ভালোবাসা এবং ভালোবাসার চাবুক দুইয়ের ভেতরেই ভালোবাসা কিভাবে খুঁজে নিতে হয় শুধু এই ডোরাকাটা জানে... যেটা জানে অথচ কিছুতে বুঝতে চায় না, সেটা হল বেড়ালের ভাষা নরম হলেও আদতে সে মাংসাশী 


ক্ষিতীজা কে লেখা চিঠিগুলো কেউ আর অনুবাদ করে দেয় নি



বাইক সিরিজ ৬ 


অরুণাচলী হিমালয়ের ওদিকটায় সেভাবে কখনো যাওয়া হয় নি বলে, তিনি নিয়মিত অ্যারিস এর কাছে যান! 


অ্যারিস, নাগাল্যাণ্ডের লোথা আদিবাসীদের মেয়ে।

আদিবাসী এবং চ্যাপ্টা নাক হলেও গায়ের চামড়া মসৃণ এবং শুধুমাত্র ফর্সা বললে ভুল না; পাপ হবে। নিটোল জাপানি কায়দায় গড়া এক তুলতুলে পুতুল যেন। ক্রমে ক্রমে দ:পূ: এশিয়ার  এক-একটি মাইলস্টোন, যা কিনা শুধুমাত্র জলপাই একটি বাইকে অতিক্রম করার কথা ছিল...


নিয়মিত অ্যারিসে গিয়ে থেমেছে আজকাল! আপেলের কোয়ার মত এক-একটি নাগা শব্দ বাঙালি কানে বৌদ্ধমঠের নির্জনতাসম ডুরে ওঠে। দোজুখু ভ্যালির নগ্ন নৈসর্গ পিঠে চড়িয়ে আলতো আলতো অলিভের লালা গড়িয়ে পড়ে লোমশ বিভাজিকায়। নিয়মিত হিমালয়ে যাওয়া হয় না, অথচ সেই নাগারমণীর ঘাতে ঘাত অপূর্ব শৈলী ঠিক সমস্ত যন্ত্রণা নিরাময়ে সুপারগ। যে টুকটুকে ভাঙা শব্দগুলিতে মিশে আছে ভূত জোলাকিয়ার নারকীয় ঝাল, ঠোঁটে ঠোঁট চুবিয়ে চিবিয়ে রক্ষে নেই, পাপের লাভায় দলে যেতে হয়। মধ্যবিত্ত বাঙালি কিশোর মন, ভুগোল বইয়ের পৃষ্ঠা ছাড়া নাগাল্যাণ্ড এখনো যার নিরাপদ হৃদয়ে কোনও ওজন রাখতে পারেনি, দিমাপুরের ঐশ্বরিক আলো মাখতে মাখতে সে ভ্যাবাচ্যাকা তো খাবেই! ইচ্ছে হয় খাবলে ধরে বুক, ঘাড় ধরে ফেলে দেয় বৈকালিক শয্যায়!  নাগাল্যাণ্ডের সুপেয় ঝর্ণার মেটে স্বাদ ফুটিফাটা করে মেখে নেয় চশমখোর চোখেমুখে... কিন্তু ঐ যে, বাঙালি; ভীতু এবং ভেতো, কুকুরের  মাংস শুনলেই যার ভুজনোর ভাত উঠে আসে, সে আর রক্ত মাংস এবং মশলার গুণাগুণের ফারাক কিই বা বুঝবে! কিই বা বুঝবে রেশমিপোকার লার্ভা দিয়ে কষা গালহো-র মাহাত্ম্য! যার সাথে দুপেগ বন্য ঝুঠো-র মেলবন্ধন বহুপ্রাচীন অভিযানে নিয়ে যায়। অ্যারিস, অ্যারিসের টিপিক্যাল এশিয়ান খাদে খাদে ঝুম চাষ আর দেখা হল না আজও। কোহিমায় গিয়ে নাগামাদলের তালে তালে নাচা হল না হর্নবিল ফেস্টিভ্যালেও...


অরুণাচলী হিমালয়ের ওদিকটায় সেভাবে কখনো যাওয়া হয় নি বলে, এই গোধূলির প্রত্নতাত্ত্বিক ছটায় মৃদুমন্দ হিমেল আস্কারা পেতে তিনি একটু একটু করে অ্যারিসের কাছে যান। দৈনিক ভদ্র খদ্দেরের মত আকাশকুসুম রঙে রঙ চাপিয়ে একাই শখের ছবি আঁকেন। মাঝে সাঝে টিপস দেবার সময় নাগাতন্বী যখন বুকের ভাঁজে উপরি কামাই গুঁজে নেয়, তার কপালের খোঁচা খোঁচা চুল সরিয়ে একটা ক্ষণস্থায়ী চুম্বন ফেলে আসেন নি:শব্দ ভেতো বাঙালি


অ্যারিসের অভিব্যক্তি তিনি কখনো ফিরে দেখেন না, জলপাই বাইকটিতে স্টার্ট দেন



বাইক সিরিজ ৭ 


ভট্টাচার্য তুমি, ঘোড়া এঁকেছো বলেই তাকে ঘাস খেতে হবে, - বাধ্যতামূলক না

শিশুটি ঘোড়া-ঘোড়া খেলবে বলে, যখন মা-কে ঘোড়া সাজতে হয়, তার শরীরে কোনও লাগাম থাকে না,

উপরন্তু খুদে অণ্ডকোষ বারংবার মা'এর পিঠ ছুঁয়ে যায়


এই ঘর্ষণকে উপেক্ষা করার উপায় নাই,

অথচ ঘর্ষণ হেতু মাতৃত্ব অথবা শৈশব কেহই বিন্দুমাত্র বিচলিত নন -

তথাপি বৈপ্লবিক কিছু আত্মা কদাচিৎ চড়াও হতে চান সভ্যতার ঘোড়াটিতে, মাপতে থাকেন লাগামের ব্যাসার্ধ


তাদের আস্তিক সতর্কতা শৈশবকে দেয় যৌনতার বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ এবং মা-কে সবক শেখানোর নামে অভিশপ্ত পক্ষীরাজের ঘাড়ে চড়ে উড়ে যেতে চায় কালো রূপকথার আরো কালো ফ্যাণ্টাসিতে


ভট্টাচার্য

ঘোড়াটি তোমার - পক্ষীরাজ হতে চায় না

অথচ তাকে আস্তাবলে ফেরাবে বলে কি উদব্যস্ত কিছু ঘোড়ারোগ

মানুষকে ঘোড়া এবং ঘোড়াকে মানুষ 

ফিজিক্যাল রূপান্তরের ইচ্ছেবিরুদ্ধ অবদমনে 

এরা এক অসভ্য তৃপ্তি খুঁজে পায়


আনন্দ, মানেই, যে জোরালো শব্দ না -ভট্টাচার্য, এরা বোঝে না, 

এরা বোঝে না, শব্দ তো একটা সংকেত মাত্র, একটা ধারাবাহিক সংস্কৃতির বিনিময় -

আসল খেলা ঐ লাগামটিতে, কখনো দিপচাঁদি কখনো বা দাদরা আবার কখনো কাহারবা 

ঘোড়া ছুটছে ঘোড়সওয়ারের নিজস্ব তালে


এই তাল এই ছন্দ মিশে আছে তোমার প্রতিটি শিরায়, ধুকপুকে, স্পন্দনে... ভট্টাচার্য

এই যে রঙ বা আকৃতির সনাতন ধারা অসমসাহসে তুমি ছিটিয়ে দিচ্ছো আলোর গায়ে এর চাইতে মহৎ নিবেদন আর হয় না, 

যারা অশ্বমেধকে হরির লুট ভেবে শ্রীমান সেজেছে, 

সো কলড নৈতিক বিপর্যয়ের ধ্বজা বা শ্লোগান তুলে পঙক্তিতে দাঁড়িয়েছে শো অফের তাগিদে,

তারা জানেই না ঘোড়াটি আসলে কার! 

তারা জানে না লাগামের দাগ চামড়ায় কতদূর বিস্তৃত 

তারা জানে না "যৌনতা মাত্রই শব্দ, শব্দ মাত্রই যৌনতা" নয়,

তারা জানেনা চাইলেই জল তো মুছে ফেলা যায়... জলপ্রপাত কখনো না


অতএব ভট্টাচার্য 

ঘোড়া তোমার সম্পূর্ণ হোক, 

তার ডানা, তার ক্ষুর অথবা নিরন্তর টগবগ টগবগ 

রঙে তোমার স্বাধীনতা থাক অব্যাহত

এই রঙ কোনও শাসন মানে না তাই তার গতিবেগের পথে চূর্ণ হোক যথেচ্ছ ভেদাভেদ

সমস্ত রূপ সমস্ত কথা দিয়ে আঁকো সেই ঘোড়াটিকে

ভট্টাচার্য,


যার লাগাম মহীন তোমার, শুধু তোমার হাতে চেয়েছিল দিতে তুলে
0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    December 2020
    November 2020
    September 2020
    August 2019
    June 2019
    April 2019
    February 2019
    December 2018
    October 2018
    August 2018

Proudly powered by Weebly
  • Home । হোম
  • Blog । ব্লগ
  • Submit | লেখা পাঠাবার নিয়ম
  • Subscribe। গ্রাহক হোন